জুমবাংলা ডেস্ক : অকালে ঝরে গেল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক্স ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী মারজাহান আক্তার স্মৃতি।
গত বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১ টায় কেয়ার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে (মোহাম্মদপুর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। স্মৃতি কলেজে থাকা অবস্থায় বাসের ধাক্কায় মস্তিষ্কে আঘাত পায়। এতে তার মস্তিষ্কে ফ্লুইড জমে যায়।চিকিৎসা করা হয় দেশে এবং বিদেশে।
এক বছর শিক্ষা বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় বার নোবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষা দেয় এবং উত্তীর্ণ হয়।ভর্তি হয় বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক্স ইন্জিনিয়ারিং বিভাগে।
নিয়মিত চিকিৎসায় দিনকাল ভালোই যাচ্ছিলো স্মৃতির। মাস খানেক আগে ওর প্রচন্ড মাথা ব্যথা বেড়ে যায়।
ভর্তি করা হয় এ্যাপলো ইউনাইটেড হসপিটালে পনের দিন চিকিৎসকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। স্মৃতির কোন উন্নতি না দেখে ডাক্তার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়। অপারেশনের একদিন পর স্মৃতি স্ট্রোক করে।পরবর্তীতে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা যায় যে ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত।তার পিনিয়াল লিম্ফোমা হয়েছে।কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টও ছিলো। বায়োপসি করার পরদিন গত রোববার থেকে অচেতন হয়ে পড়েন মারজাহান অাক্তার স্মৃতি।
দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, ট্রপোনিন লেভেল বেড়ে গিয়েছিল। এটাকে মায়োকারডিয়ালি ইনফারকশন বলা যায় না। আর ব্রেইন ডেথ হলে অনান্য প্যারামিটার নরমাল থাকত, কিন্তু তা না।
স্মৃতির গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর গ্রামে ।পরিবারের সবার বড় সে। তার পরিবারের বাবা-মা সহ দুইটি ছোট ভাই আছে।
সহপাঠী মো. সালাউদ্দিন মহসিন বলেন, স্মৃতি খুবই মেধাবী, ভদ্র ও মিশুক প্রকৃতির একটা মেয়ে।সময়ের ব্যাপারে ও খুবই সময়ানুবর্তী ছিলো,ছিলো স্বল্পভাষী এবং ধার্মিক। এই দু’বছরের কারো সাথে কখোনো কোনো বিরোধে যেতে দেখিনি তাকে। স্মৃতি শিক্ষক, সহপাঠী, সিনিয়র জুনিয়র সকলের কাছে খুবই প্রিয় ছিলো। তার অকাল মৃত্যুতে আমাদের পুরো বিজিই পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।
আল্লাহ তার পরিবার কে এই শোকাবহ মুহুর্তে ধৈর্য ধারন করার শক্তি দান করুন। আল্লাহর নিকট প্রার্থনা উনি যাতে উনার রহমের চাদরে স্মৃতিকে আবৃত করেন। তার বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনাসহ সর্বোচ্চ প্রতিদান জান্নাতুল ফেরদাউস কামনা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।