অক্টোপাসের অপটিক লোবের কোষ পরীক্ষা করার পর বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য হওয়ার মত তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। মানুষের মত অক্টোপাসের অপটিক লোবের একই সাথে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে। মানুষের সাথে অক্টোপাসের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায় সময়ের সাথে অপটিক লোবের বিবর্তনে।
রেটিনা, পিউপিল ও লেন্স এর কাজ করার পদ্ধতি মানুষ ও অক্টোপাসের প্রায় একই। এ তথ্য বিজ্ঞনীদের বিস্মিত করেছে। অথচ মানুষ ও অক্টোপাসের আকার ও বসবাদ পদ্ধতির মধ্যে অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। তবে অক্টোপাসের ব্রেইন এর আকার বেশ বড়।
অক্টোপাসের ব্রেইনের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের দুই-তৃতীয়াংশ শুধু দর্শন ইন্দ্রিয়ের কাজ করে। তাদের দর্শন সিস্টেম অনেক ক্ষেত্রে মানুষের চেয়ে ভালো কাজ করে। সমুদ্রের এ প্রাণী অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখতে পায়। এমনকি অক্টোপাসের বডির স্ক্রিনও আশেপাশের বস্তুর উপস্থিতি বুঝতে পারে ও তার বর্ণনা করতে পারে। অক্টোপাসের এ অভিযোজন কৌশল সত্যিই অবিশ্বাস্য।
অক্টোপাসের তরুন প্রজন্ম ফুল ফাংশনিং ব্রেইন নিয়ে জীবন-যাপন করে। তবে মনে হয় ব্রেইন আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। মানুষের সাথে এক্ষেত্রে বৈসাদৃশ্য রয়েছে অক্টোপাসের। অক্টোপাসের নিউরোট্রান্সমিটার পুরো বডির ফাংশনে প্রভাব বিস্তার করে। মানুষের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইরকম।
মানুষের নিউরোট্রান্সমিটার থেকে যে হরমোন বের হয় অক্টোপাসের নিউরোট্রান্সমিটার থেকে একই ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। নার্ভাল সিস্টেম ও বডির ফাংশনকে কার্যকর করতে সহায়তা করে এ হরমোন। আসলে বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করছেন যে কীভাবে অক্টোপাসের ভিসুয়াল সিস্টেম কাজ করে, সময়ের সাথে সাথে ডেভেলপ করে ও মানুষের সাথে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য কীরকম।
অক্টোপাসের অপটিক লোবে বিভিন্ন ধরনের কোষ লক্ষ্য করা যায়। তাদের নিউরন এক অপরের সাথে যুক্ত নয়। তবে অক্টোপাসের এত বড় আকারের ব্রেইন ডেভেলপ হতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। বিজ্ঞানীরা এ বিষয় নিয়ে আরও গবেষণ চালিয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।