
জুমবাংলা ডেস্ক : তেঁতুল পুড়িয়ে খেতে গিয়ে নিজের প্রাণটাই হারালো আরিশা খাতুন নামে ১০ বছরের এক স্কুলছাত্রী। ৩২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর মরদেহ হয়ে ফিরলো পরিবারের কাছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের শার্শা উপজেলার টেংরালী গ্রামে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, টেংরালী গ্রামের নূর হোসেনের মেয়ে টেংরালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আরিশা খাতুন গত ২২ অক্টোবর গ্রামের অন্য একটি শিশুকে দেখে সে নিজেও আগুন দিয়ে তেঁতুল পুড়িয়ে খেতে যায়। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই অসাবধানতার কারণে প্রথমে তার ওড়নাতে আগুন ধরে যায় এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আগুন তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থায় অবনতি হলে ৪৮ ঘণ্টা পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও ভাগ্য বদলায়নি শিশু আরিশা খাতুনের। দীর্ঘ চিকিৎসার পর বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাত ৮টায় চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আরিশা খাতুনকে। শিশু অরিশার অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।