স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় ট্রফি ভাগাভাগি করে নিতে হলো বাংলাদেশকে। আজ ফাইনালে মাঠে বৃষ্টি একাই খেলেছে। মাঠে বল গড়াতেই দেয়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় টস হওয়ার কথা থাকলেও তার ঠিক ঘণ্টাখানেক আগ থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়।
গুড়িগুড়ি বৃষ্টি থামেওনি আবার কমেওনি। অনবরত বৃষ্টির হওয়ার কারণে রাত ৯টার দিকে ম্যাচ অফিসিয়ালরা শেষ পর্যন্ত ফাইনাল ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাইলজ অনুযায়ী বাংলাদেশ-আফগানিস্তান যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। এদিকে ফাইনালে উঠতে পারলেও বাংলাদেশে দলের সম্প্রতি পারফর্মেন্সে খুশি নয় সমর্থকরা।
ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা একমাত্র টেস্টে টাইগারদের শোচনীয় হারকে এখনও ভুলতে পারছে না তারা। এরই মধ্যে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আসবে কিনা সে বিষয়ে গুঞ্জন শোনা গেছে। বিষয়টি গত কিছুদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে তুলেছিলেন টেস্ট ও টি-টোয়োন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই।
অধিনায়কত্বকে বাড়তি দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছিলেন, এ দায়িত্ব তেমন উপভোগ করতে পারছেন না তিনি। চট্টগ্রাম টেস্টে ষ্পষ্টভাষায় এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেছিলেন, ‘দলের দায়িত্ব থেকে মুক্ত থাকতে পারলেই খুশি আমি। অধিনায়কত্ব যদি না করতে হয় সেটিই সবচেয়ে ভালো হবে আমার জন্য।’
সে সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল, অধিনায়কত্ব থেকে সাকিব সরে গেলে দলের ভার কার কাঁধে যাবে? সাকিবের জায়গায় কে ধরবেন বাংলাদেশ দলের হাল? ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে ট্রফি ভাগাভাগির পর সংবাদ সম্মেলনে ফের ওঠে এই প্রশ্ন। সেখানে বলা হয়, আগেও দলকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে এবং দলের একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে মাহমুদউল্লাহর কাছে যদি এমন প্রস্তাব আসে, তিনি কী লুফে নেবেন?
প্রথমে হেসে দিলেও পরক্ষণে গুরুগম্ভীর কণ্ঠে মাহমুদউল্লাহ বলেন, অধিনায়কত্বের ভার নিতে তৈরি আমি। এটা আসলে একটা বড় দায়িত্ব ও সম্মান। এটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জও বটে। আর এ চ্যালেঞ্জ নিজ থেকে আসলে তাকে ফিরিয়ে দেব কেন?
প্রসঙ্গত বেশ কয়েকবার টাইগারদের অধিনায়ক হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১৮ এর জানুয়ারিতে সাকিব ইনজুরিতে পড়লে শ্রীলঙ্কা সিরিজে দলের নেতৃত্ব দেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া কলম্বোয় নিদাহাস ট্রফিও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। গত বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অধিনায়কত্ব করেন মাহমুদউল্লাহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।