বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ব্রেইন চিপ বসানো প্রথম রোগী নোল্যান্ড আরবাঘ সফলভাবে অনলাইনে দাবা খেলার সক্ষমতা অর্জন করেছেন বলে দাবি করেছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন কোম্পানি নিউরালিংক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ৯ মিনিট দীর্ঘ এক ভিডিওতে দেখা গেছে, অনলাইনে দাবা খেলতে তিনি একটি মাউসের কার্সর ব্যবহার করছেন।
এর আগে ভাবনা দিয়েই প্রথমবারের মতো কম্পিউটারের মাউস নিয়ন্ত্রণের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন নোল্যান্ড আরবাঘ। খবর বিবিসির।
এক গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন নোল্যান্ড আরবাঘ। পরবর্তীতে তার কাঁধের নিচের অংশ প্যারালাইজড হয়ে যায় ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজের মস্তিষ্কে নিউরালিংকের চিপ বসানোর সুযোগ পান তিনি।
নিউরালিংকের লক্ষ্য, বিভিন্ন জটিল স্নায়বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়ক হিসেবে কম্পিউটারের সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্কের সংযোগ ঘটানো।
ব্রেইন চিপের প্রেজেন্টেশনে আরবাঘ বলেন, অস্ত্রোপচারটি খুবই সহজ ছিল। এর আগে ভিডিও গেইম ‘সিভিলাইজেশন ৬’ খেলতে ব্রেইন ইমপ্লান্ট ব্যবহার করেছিলেন তিনি। আর নিউরালিংক তাকে ‘আবারও গেইমটি খেলার সক্ষমতা দিয়েছে ও তিনি টানা আট ঘণ্টা গেইমটি খেলেছেন।
তবে, আরবাঘ এ’ও বলেন, নিউরালিংকের এ নতুন ব্রেইন প্রযুক্তি নিখুঁত ছিল না। আর কোম্পানি এই প্রযুক্তি চালাতে গিয়ে ‘বেশ কিছু সমস্যায় পড়েছিল’।
নিউরালিংকের ডিভাইসটি আকারে প্রায় এক পাউন্ড মুদ্রার সমান। একে মূলত মাথার খুলিতে ঢোকানো হয় যাতে ডিভাইসের সঙ্গে মাইক্রোস্কোপিক তার যোগ করে মস্তিষ্কের নিউরনের কার্যকলাপ পড়া যায় ও ডিভাইসের রিসিভিং ইউনিটে বেতার সংকেত পাঠানো যায়।
ডিভাইসটির কার্যকারিতা পরখ করতে শূকরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে নিউরালিংক। কোম্পানিটির দাবি, এ ব্রেইন চিপ প্রতিস্থাপন করে বানরকে দিয়ে ভিডিও গেইম ‘পং’-এর একটি মৌলিক সংস্করণ খেলানোও সম্ভব হয়েছিল।
দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে যন্ত্রের সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেসেস (বিসিআইএস) প্রযুক্তির চিপ তৈরির জন্য কাজ করছে নিউরালিংক। গত বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) নিউরালিংককে প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে চিপ যুক্ত করার পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।