লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়াও একপ্রকার ‘ট্রেন্ড’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে জেনে-শুনে, আবার অনেকে কোনো কোনো সময় একেবারেই নিজের অজান্তেই বিলিয়ে দিচ্ছেন নিজের ব্যক্তিগত তথ্য। কোথায় কোন তথ্য দেওয়া উচিত নয় কিংবা অনলাইনে আপাতদৃষ্টিতে মনে হওয়া নিরাপদ কাজগুলো আসলে বিপজ্জনক তা বুঝতে না পারায় অনেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। আজকের লেখাটিতে এরকম কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
১. অপরের ফাঁদে পা দেবেন না
অনলাইনে রয়েছে অসংখ্য ফাঁদ। আর এ ফাঁদগুলোর হাত থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে সতর্ক হতে হবে। কোনোভাবেই কারো ফাঁদে যেন ধরা না পড়তে হয় সে জন্য সতর্ক থাকুন। অনলাইনে বহু মানুষই রয়েছে, যারা নিজ নিজ স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য ব্যস্ত।
আর তারা সর্বদা নানা ধরনের ভুল তথ্য প্রকাশ করে অন্যকে বোকা বানাচ্ছে। এ কারণে কোনো তথ্য বিশ্বাস করার আগে কিংবা অন্য কোনো স্থানে প্রয়োগের আগে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত হয়ে নিন।
২. শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করুন
অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন। নিরাপত্তাব্যবস্থা হিসেবে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করুন। এতে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনলাইনের পাশাপাশি মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
৩. একাধিক সাইটে এক পাসওয়ার্ড নয়
অনেকেই একাধিক সাইটে একটিই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আর এ বিষয়টি আপনার পাসওয়ার্ডের মারাত্মক দুর্বলতা প্রকাশ করে। এ ছাড়া আরেকটি বিষয় হলো সহজ পাসওয়ার্ড না দেওয়া। অনেকেই সহজ পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তাকে হুমকির সম্মুখীন করেন। এ হুমকি এড়াতে চিহ্ন, সংখ্যা ও অক্ষর সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে একত্রিত নয়
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সেবা একত্র করে ফেলেন। এতে অসতর্ক অবস্থায় অ্যাকাউন্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্যদের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫. অনলাইনে অতিরিক্ত তথ্য নয়
অনলাইনে আপনি কোন কোন তথ্য প্রকাশ করবেন, সে বিষয়ে সংযমী হওয়া আবশ্যক। আপনার সন্তানের তথ্য যেমন বেশিমাত্রায় প্রকাশ করা যাবে না তেমনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশেও সাবধান থাকতে হবে। অন্যথায় এগুলো দুষ্টলোকের হাতে চলে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনবে।
৬. পাবলিক ওয়াই-ফাই সাবধান
এখন বিভিন্ন স্থানে বিনা মূল্যে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব স্থান থেকে আপনি সংবাদবিষয়ক কিংবা অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ব্রাউজ করতে পারেন। কিন্তু ই-মেইল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না চালানোই ভালো। কারণ হ্যাকাররা প্রায়ই পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারকারীদের সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।
৭. অনলাইনে বিতর্ক নয়
আপনি যদি বিতর্কপ্রিয় হন, তাহলে কোনো বন্ধুর সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্ক করুন। অনলাইনে কারো সঙ্গে বিতর্ক করতে যাবেন না। অনেক সময় বিতর্কের অংশবিশেষ আপনার জন্য বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে। এ ছাড়া এতে বহু মানুষের দৃষ্টি আকর্ষিত হতে পারে, যা পরে আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে।
–ফক্স নিউজ অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।