আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনে বাণিজ্যিকভাবে রোবটচালিত স্বয়ংক্রিয় ট্যাক্সি সেবা পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে পোনি ডট এআই নামের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। খবর রয়টার্স’র।
খবরে বলা হয়, রোববার টয়োটা মোটর করপোরেশনের সমর্থনপুষ্ট এই প্রতিষ্ঠানটি চীনের এক শহরে ভাড়ার বিনিময়ে চালকবিহীন ট্যাক্সি সেবা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
পোনি ডট এআই চীনের প্রথম স্বয়ংক্রিয় পরিবহন প্রতিষ্ঠান, যারা বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের একটি সেবা চালু করতে যাচ্ছে।
স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী গুয়াংজুর নানশা জেলায় ১০০টি চালকবিহীন যান পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।
পোনি ডট এআই গত বছর বেইজিংয়েও একই সেবা পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে। তবে বেইজিংয়ে এখনো পরীক্ষামূলকভাবে চলছে এই সেবা।
প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র জানান, বেইজিংয়ের শিল্প এলাকাগুলোতে সীমিত আকারে এ সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানের বিবৃতি অনুযায়ী, নানশা জেলার পুরো ৮০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ট্যাক্সি চলবে। পোনি ডট এআই’র নিজস্ব অ্যাপ ‘পোনিপাইলট প্লাস’ ব্যবহার করে ট্যাক্সি ডাকা ও ভাড়া প্রদান করা যাবে।
ফ্রেমন্টে এক প্রদর্শনীতে পোনি ডট এআই প্রযুক্তি সম্বলিত গাড়ির ভেতরের অংশ দেখা যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
প্রাথমিকভাবে পোনি ডট এআই’র চালকবিহীন ট্যাক্সিতে নিরাপত্তার জন্য একজন করে মানব-চালকও থাকবেন, তবে শিগগির তাদেরকে প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন বেশ কিছু স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান রোবটচালিত গাড়ি প্রযুক্তিতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে এই খাতে আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ খুঁজছে।
পোনি ডট এআই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে দীর্ঘদিন ধরে তাদের চালকবিহীন প্রযুক্তির পরীক্ষা চালাচ্ছে, বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্ট ও মিলপিতাসের রাস্তায় এবং চীনের গুয়াংজু ও বেইজিং শহরে।
চীনে এ মুহূর্তে পোনি ডট এআই ছাড়াও মোমেন্টা ও সাইক নামের দুটি প্রতিষ্ঠান সাংহাইয়ের জিয়াডিং প্রদেশে পরীক্ষামূলকভাবে রোবোট্যাক্সি পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে।
ইতোমধ্যে শেনঝেনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবার সমর্থনপুষ্ট অটো এক্স পরীক্ষামূলকভাবে রোবোট্যাক্সি সেবা পরিচালনা করছে।
জনবহুল নগর অঞ্চলে প্রচুর পথচারী ও অন্যান্য যানবাহনের উপস্থিতিতে রোবোট্যাক্সি কেমন দক্ষতা প্রদর্শন করে, সেটাই শেনঝেনে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।