জুমবাংলা ডেস্ক : সর্দি-কাশি ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে চাইলে জীবাণু থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস, হাঁচি বা কাশির সময় বেরিয়ে আসা জীবাণু সুস্থ ব্যক্তিকে করে ফেলতে পারে অসুস্থ। আমরা যখন কাশি বা হাঁচি দিই, তখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে জীবাণু। এসব জীবাণু বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়।
এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির হাতের স্পর্শ থেকে এগুলো নানা জায়গায় আটকে যায়। গবেষণা বলছে, এসব জীবাণু কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত শক্তিশালী থাকতে পারে। এগুলো সুস্থ ব্যক্তি স্পর্শ করলে তাদের সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সর্দি, কাশি ও ফ্লুর মতো অসুখ এভাবেই ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে স্থানান্তরিত হয়। প্রতিদিন এমন অনেক স্থান আমরা স্পর্শ করি, যেগুলো বহু মানুষ বারবার স্পর্শ করে। এগুলো থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। জেনে নিন এমন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা কোনগুলো।
- সিঁড়ির রেলিং
- লিফটের বোতাম
- শপিং কার্ট
- রেস্তোরাঁর মেন্যু
- টাকা
- রেস্তোরাঁর লবণ ও মরিচের বয়াম
- এটিএম মেশিন
- জিমের ব্যায়ামের সরঞ্জাম
- সাবান ডিসপেনসার
- ফুড কোর্টের টেবিল
করণীয় কী?
প্রতিদিন জীবাণুযুক্ত নানা স্থান আমাদের স্পর্শ করতেই হয়। এক্ষেত্রে সুস্থ থাকতে চাইলে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি-
- রান্না করার আগে ও খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন। রান্না করার পরে, টয়লেট ব্যবহার করার পরে, পোষা প্রাণীকে স্পর্শ করার পরে, হাত ধুয়ে নিন। এছাড়া কাশি বা হাঁচি দেওয়ার পরেও হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
- জীবাণু থাকতে পারে এমন স্থান স্পর্শ করার অ্যালকোহলভিত্তিক স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিন।
- পাবলিক প্লেসে থাকা অবস্থায় হাত দিয়ে নাক, চোখ বা মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।