জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শিবগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা আপস করে ধামাচাপা দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান! বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোখলেছার রহমান ধর্ষণের ঘটনা আপস মীমাংসা করে দেন। এদিকে, ধর্ষণের শিকার কিশোরী গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ও বেড়াবালা গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে তারাজুল ইসলাম (২০) পার্শ্ববর্তী চাকলমা গ্রামে সপ্তম শ্রেণির কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায় ওই কিশোরী তিন মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়লে উভয়ের পরিবারে বিষয়টি জানাজানি হয়। গত শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) গর্ভপাত ঘটাতে গেলে ওই কিশোরী অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই দিনই তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই কিশোরী বর্তমানে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, রবিবার (৫ সেপ্টম্বর) মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছার রহমান ছেলে ও মেয়ের বাবাকে নিয়ে পরিষদে আপস-মীমাংসা বৈঠকে বসেন। চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় আড়াই লাখ টাকা দেহমোহরনা দিয়ে কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি হন তারাজুল। এছাড়াও কিশোরীর চিকিৎসা খবর ছেলের বাবাকে বহন করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
গ্রাম পুলিশ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলে-মেয়ে সম্পর্কে খালা ভাগিনা। তাদের প্রেমের বিষয়টি আমরা জানতাম না। গর্ভবতী হওয়ার পর ঘটনাটি জানতে পারি। এখন ধর্ষণ মামলা থেকে ছেলেকে বাঁচাতে চেয়ারম্যান বিয়ের মাধ্যমে আপস করে দিয়েছেন।’
মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোখলেছার রহমান বলেন, ‘ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই একে অপরের আত্মীয়। এ ছাড়াও ছেলের বাবা পরিষদের গ্রাম পুলিশ। সে কারণে পরিষদে বসে বিয়ে করার শর্তে আপস করে দেওয়া হয়েছে।’
শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা জানা নাই। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।