আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সারাবিশ্বে হ্যান্ডস্যানিটাইজারের ব্যবহার বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব স্যানিটাইজার হতে হবে ৬০ শতাংশের বেশি অ্যালকোহলযুক্ত। তবেই রেহাই মিলবে করোনাভাইরাসের হাত থেকে।
তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বেশ মারাত্মক। এটি ব্যবহার করে আগুনের কাছে গেলেই পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
সম্প্রতি ভারতের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশন জানিয়েছেন, কিছু স্যানিটাইজারে ক্ষতিকর অ্যালকোহল রয়েছে যা শরীরে ভয়ানক প্ৰভাব ফেলতে পারে। এর প্রভাবে অন্ধও হয়ে যেতে পারে মানুষ। কোমায় চলে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে শুধু স্যানিটাইজার ব্যবহারের কারণে।
গবেষকদের মতে, কিছু কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজারের আবশ্যিক উপাদান হিসেবে ইথানল ব্যবহৃত হচ্ছে। যা পরে মিথানল হিসাবে পজিটিভ হয়ে পড়ছে। যা বেশ ক্ষতিকারক অ্যালকোহল নামে পরিচিত।
এফডিএ ৬৯টি উপাদানের তালিকা প্রকাশ করেছে সম্প্রতি, যা আপাতত গ্রাহকদের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখে নিষিদ্ধ বস্তুর তালিকায় আরো দুটি দ্রব্য যোগ করা হয়েছে।
জুলাইয়ের শুরুতেই এফডিএ কমিশনার স্টিফেন এম হান এক বিবৃতিতে জানান, গ্রাহক ও স্বাস্থ্য পরিসেবা কর্মীদের মিথানল দিয়ে বানানো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে নিষেধ করা হচ্ছে। অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মিথানল দিয়ে বানানো হ্যান্ড স্যানিটাইজার কতটা ক্ষতিকারক?
আন্তর্জাতিক স্তরের স্বাস্থ্য দফতর ও সংস্থা জানাচ্ছে, বমি, মাথাব্যথা, অন্ধত্ব, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া থেকে কোমা পর্যন্ত ঘটতে পারে স্যানিটাইজার থেকে। বলা হয়েছে, অ্যালকোহলের উপাদান হিসেবে ইথানলই একমাত্র যা তেমন কোনো ক্ষতি করে না। তাই স্যানিটাইজার তৈরিতে এটি প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যবহার করা যায়। এর থেকে বেশিও অনেক সময় ব্যবহৃত হয়। তবে কোনোভাবেই যেন মিথানল বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহার না করা হয়।
ইথানলের থেকে মিথানল অনেকটাই সস্তা হওয়ার কারণে অনেক অনভিজ্ঞ কেমিস্ট কমে খরচে বেশি লাভ করার জন্য মিথানলের ব্যবহার করে চলেছেন। এধরনের স্যানিটাইজার ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel