আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক মানুষ। শুধু কাডাপাতেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের, নিখোঁজ রয়েছেন ১২ জন। তীর্থস্থান তিরুপতিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েকশ পুণ্যার্থী। খবর এনডিটিভি, আনন্দবাজার’র।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাতে ভারি বৃষ্টির মধ্যে অনন্তপুর জেলার কাদিরি শহরে পুরনো তিন তলা একটি ভবন ধসে তিন শিশুসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ভবন ধসে আটকা পড়েন আরও অনেকে।
কাডাপা জেলায় একটি সরকারি বাস ভেসে গেছে। বাসটির অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ ১২ জন। অন্যদিকে, রাজমপেটের মণ্ডপল্লি, আকেপাড়ু এবং নন্দলুরুতে ৩০ জনের মতো মানুষ পানিতে ভেসে গেছে। তিরুপতি থেকে কাডাপা যাওয়ার সড়ক এবং রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যানবাহন ও ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের ঘাট রোড এলাকায় পানি ঢুকে পড়ায় বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ মন্দির। তিরুপতিতে স্বর্ণমুখী নদীর পানি উপচে লোকালয় ডুবে গেছে। জানা গেছে, বন্যায় বহু মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতীয় ও রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে। চলছে উদ্ধার তৎপরতা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত চেন্নাইসহ গোটা তামিলনাড়ু। একটানা বৃষ্টির জেরে এর আগেও একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চেন্নাই, থেনি ও মাদুরাই জেলাতেও ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনা। জেলাগুলোর অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন রয়েছে। ভেঙেছে অসংখ্য কাঁচা বাড়ি।
এদিকে, কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তিরুভাল্লুর, চেঙ্গলপাটটু ও কাঞ্চিপুরমের সমস্ত স্কুল-কলেজ। একাধিক জেলায় জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ রাখা হয়েছে অফিসও।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।