বাইকের ডিস্ক প্যাড সম্পর্কে অনেকেরই কমবেশি ধারণা আছে। তবে আমরা হয়তো অনেকেই জানি না বাইকে তিন ধরনের ডিস্ক প্যাড বা ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এগুলো হচ্ছে-ক্রস ড্রিলড ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম, ক্রস স্লটেড ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম এবং ওয়েভ বা পেটাল ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম। এই তিনটির মধ্যে সর্বাধুনিক ও সেরা হচ্ছে পেটাল ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম। কেন পেটাল ডিস্ক সেরা তা জানতে অবশ্যই ক্রস ড্রিলড ও ক্রস স্লটেড ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম সম্পর্কে কিছু ধারণা থাকা প্রয়োজন।
ক্রস ড্রিলড ডিস্ক:
১৯৬০ সালে রেসিং কারগুলোতে প্রথম ক্রস ড্রিলড ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়। এই ডিস্কগুলোতে ক্রস-ড্রিল করা গর্ত রয়েছে যা, একে ব্রেক করার সময় এবং গাড়ির গতি কমানোর সময় অতিরিক্ত তাপ এড়াতে সক্ষম করে।
বৃষ্টি প্রবণ এলাকায় ক্রস ড্রিল ডিস্ক আদর্শ পছন্দ হতে পারে। তবে এই ডিস্কের কিছু সমস্যা আছে। বড় সমস্যা হচ্ছে, এতে ফাটল দেখা যায়। সম্ভবত ক্রস ড্রিল করা গর্ত ডিস্ক পৃষ্ঠকে অসম করে তোলায় এ সমস্যা দেখা দেয়।
ক্রস স্লটেড ডিস্ক:
ক্রস স্লটেড ডিস্ক ব্রেক সিস্টেমে ডিস্কের পৃষ্ঠে অগভীর চ্যানেল (স্লট) কাটা হয়; এগুলো বিভিন্ন প্রস্থে এবং বিভিন্ন কোণে কাটা যেতে পারে। এই ডিস্ক ব্রেক সিস্টেমগুলো বেশিরভাগই রয়েল এনফিল্ড এবং হার্লে ডেভিডসনের মতো ক্রুজার বাইকে দেখা যায়।
ক্রস স্লটেড ডিস্ক ক্রস ড্রিলড ডিস্কের তুলনায় ব্রেকিং সিস্টেমে তৈরি তাপ ছড়িয়ে দেওয়া বা কমানোর জন্য আরও টেকসই এবং আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
পেটাল ডিস্ক:
ওয়েভ ডিস্ক ডিস্ক ব্রেক সিস্টেমটি পেটাল ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম নামেও পরিচিত। এই ব্যবস্থায় ডিস্কটিকে ঢেউয়ের মতো করে কাটা হয়। এর কারণ হচ্ছে, চাকা ঘোরার সময় ডিস্কটিকে গ্রিপ বা আটকাতে ব্রেক প্যাডের জন্য অতিরিক্ত জায়গা প্রদান করে ঢেউ্ আকৃতির রোটর। অন্যভাবে বলা যায়, ঢেউ আকৃতির হওয়ার কারণে রোটরটি ঘূর্ণনের সময় প্যাডকে ক্রমাগত নতুন পৃষ্ঠ এলাকা প্রদান করে।
এই তরঙ্গায়িত নকশাটি রোটরের অতিরিক্ত গরম হওয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রতিবার ঘূর্ণনের সময় ব্রেক প্যাডে অতিরিক্ত জায়গা দেওয়ার কারণে প্যাডগুলো সবসময় সর্বোত্তম ব্রেকিং পয়েন্টে থাকে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের ডিস্কে ব্রেকও হয় চমৎকার। এছাড়া ক্রস ড্রিলড কিংবা ক্রস স্লটেড ডিস্কের চেয়ে পেটাল ডিস্কের ওজনও হয় হালকা। এর ফলে বাইকের সামনের চাকাটি কম ওজন নিয়ে ঘুরতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।