Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home অপরাধীদের সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর আচরণ কেমন ছিল?
    ইসলাম

    অপরাধীদের সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর আচরণ কেমন ছিল?

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কDecember 13, 20195 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : রাসুলুল্লাহ (সা.) দয়া, অনুগ্রহ ও ভালোবাসার নবী। তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে বলেছেন, ‘আমি ক্ষমা ও দয়ার নবী।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩৫৫) আর কোরআনে মহানবী (সা.) সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য নবী রাসুল এসেছেন। তোমাদের যা বিপন্ন করে তা তাকে কষ্ট দেয়, তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী এবং মুমিনদের প্রতি দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১২৮)

    রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দয়া ও কল্যাণকামিতা ছিল সব মানুষের জন্য। তাঁর দয়া, অনুগ্রহ ও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হতো না সমাজের অপরাধীরাও; বরং তাদের প্রতি ছিল তাঁর বিশেষ মমত্ব ও কল্যাণকামিতা। কারো ভেতর কোনো অপরাধপ্রবণতা দেখা দিলে তিনি প্রথমেই তা সংশোধনের চেষ্টা করতেন। যুক্তি দিয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতেন। বেশির ভাগ সময় কারণ ব্যাখ্যা করতেন। আবার অপরাধ প্রমাণিত হলে যথোপযুক্ত শাস্তি প্রয়োগ করতেন। যেন তা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত না হয়।

    পাপ থেকে সতর্কীকরণ

    আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) আমার শরীরে দুটি জাফরান রঙের কাপড় দেখলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মা কি তোমাকে এই দুটি পরার নির্দেশ দিয়েছেন? আমি বললাম, আমি কি কাপড় দুটি ধুয়ে দেব? রাসুল (সা.) বললেন, বরং তুমি তা পুড়িয়ে ফেলো। কেননা এটি অবিশ্বাসীদের পোশাক। তুমি পরিধান কোরো না।’ (রিয়াদুস সালিহিন, হাদিস : ২৮৯)

    অপরাধপ্রবণতা দূর করতে মনস্তাত্ত্বিক চিকিত্সা

    অপরাধপ্রবণতা কমাতে মনস্তাত্ত্বিক চিকিত্সার কথা বলে আধুনিক অপরাধ বিজ্ঞান। রাসুলুল্লাহ (সা.) অপরাধপ্রবণতা দূর করতে এই পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিতেন। তিনি এমনভাবে অপরাধের স্বরূপ উন্মোচন করতেন যে মানুষের অপরাধস্পৃহা দূর হয়ে যেত। যেমন—এক যুবক রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ব্যভিচারের অনুমতি চাইলে তিনি বললেন, তোমার মা, মেয়ে, বোন, ফুফি ও খালার সঙ্গে কেউ এমন করুক এটা কি তুমি পছন্দ করবে? সে বলল, না, এটা কেউ পছন্দ করবে না। তখন রাসুল (সা.) তাকে বললেন, মানুষও তার আপনজনের সঙ্গে ব্যভিচার পছন্দ করে না। অতঃপর তিনি তার পাপমুক্তি ও আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য দোয়া করলেন। (মুসনাদে আহমদ : ৫/২৫৬)

    অপরাধীর আত্মসম্মানে আঘাত নয়

    রাসুল (সা.)-এর সময়ে কেউ কোনো অপরাধ করলে তিনি তার নাম উল্লেখ না করেই মানুষকে সতর্ক করতেন, যেন অপরাধীর আত্মসম্মানে আঘাত না লাগে। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে যখন তাঁর কোনো সাহাবির ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পৌঁছাত, তখন তিনি বলতেন না অমুকের কী হলো; বরং তিনি বলতেন, মানুষের কী হলো তারা এমন কাজ করে!’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৮)

    অপরাধকর্মের প্রচারণা অনুচিত

    মহানবী (সা.) সামাজিকভাবে অপরাধীর দোষ-ত্রুটি ও অপরাধের প্রচার নিষিদ্ধ করেছেন। যেন ওই ব্যক্তি অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসার সুযোগ পায়। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার কোনো মুসলিম ভাইয়ের দোষ গোপন করল, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন। আর যে তার কোনো মুসলিম ভাইয়ের দোষ প্রকাশ করে দেবে, আল্লাহ তার দোষ প্রকাশ করে দেবেন; এমনকি তাকে নিজ ঘরে অপমানিত করবেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৫৪৬)

    ইসলামী আইনজ্ঞদের মতে, ব্যক্তির অপরাধের সঙ্গে যদি অন্য কারো অধিকার, সামাজিক শৃঙ্খলা ও অবক্ষয়, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ জড়িত না থাকে তখন তার অপরাধ গোপন করা যাবে। নতুবা তা প্রকাশ করে দিতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ মন্দ কথার প্রচারণা পছন্দ করেন না। কিন্তু যার ওপর জুলুম করা হয়েছে সে ছাড়া। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৮)

    সংশোধনের সুযোগ দেওয়া

    কেউ অপরাধ করলে তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাকে আত্মসংশোধনের সুযোগ দিতে বলেছেন। ইসলামী শরিয়তে শাস্তির যে বিধান রয়েছে তার মূল উদ্দেশ্যও ব্যক্তির আত্মসংশোধন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারো দাসী (অবিবাহিত) ব্যভিচারে লিপ্ত হয় এবং তা প্রমাণিত হয়, তখন তাকে দোররা মেরে তাকে শাস্তি দাও। কিন্তু তাকে ভর্ত্সনা কোরো না। যদি সে আবারও ব্যভিচারে লিপ্ত হয় এবং তার ব্যভিচার প্রমাণিত হয়, তবে তাকে দোররা মেরে শাস্তি দাও। কিন্তু তাকে ভর্ত্সনা কোরো না। তার পরও যদি সে ব্যভিচার করে এবং তার ব্যভিচার প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে বিক্রি করে দাও একটি রশির বিনিময়ে হলেও।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২২৩৪)

    অপরাধীরাও মৌলিক মানবাধিকার পাবে

    আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত উল্লিখিত হাদিস দ্বারা এটাও প্রমাণিত হয় যে কোনো ব্যক্তি অপরাধী প্রমাণিত হলেও সে মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। একটি অপরাধের দায়ে ব্যক্তিকে আজীবন ভর্ত্সনা ও অপমান করা যাবে না। নতুবা রাসুলুল্লাহ (সা.) দাসীকে ভর্ত্সনা করতে নিষেধ করতেন না।

    ক্ষমার ব্যাপারে আশান্বিত করা

    মনুষ্যত্বের কারণে মানুষ অপরাধ করার পর আত্মগ্লানিতে ভোগে। রাসুলুল্লাহ (সা.) অপরাধীকে আত্মগ্লানি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতি আশান্বিত করতেন। আবদুর রহমান ইবনে জোবায়ের (রা.) আবু তুয়াইল শাতাব আল মামদুদ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বললেন, ‘আপনি সেই ব্যক্তির ব্যাপারে কী বলেন, যে সব ধরনের পাপ করেছে। কোনো পাপই সে ছাড়েনি; ছোট-বড় সব পাপই সে করেছে। তার এত পাপের মার্জনা আছে? রাসুল (সা.) বললেন, তুমি কি ইসলাম গ্রহণ করেছ? তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই এবং আপনি আল্লাহর রাসুল। মহানবী (সা.) বললেন, ভালো কাজ করো, পাপ পরিহার করো, আল্লাহ তোমার পাপকে পুণ্যে পরিণত করবেন। আবু তুয়াইল (রা.) বললেন, আমরা বিশ্বাসঘাতকতা ও পাপাচারও? রাসুল (সা.) বললেন, হ্যাঁ! আল্লাহ মহান। কোনো কিছু তাঁর সীমার ঊর্ধ্বে নয়।’ (সুনানে তিবরানি, হাদিস : ৭২৩৫)

    কল্যাণের জন্য শাস্তি প্রদান

    মহানবী (সা.) অপরাধীদের মানবিক অধিকার ও উত্তম জীবন কামনা করলেও সার্বিক কল্যাণের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর ছিলেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর তিনি কাউকে ছাড় দিতেন না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের আগে যারা ধ্বংস হয়েছে, তাদের মধ্যে যখন কোনো অভিজাত ব্যক্তি চুরি করত, তারা তাদের ছেড়ে দিত। আর যখন তাদের মধ্যে দুর্বল কেউ চুরি করত, তার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করত। আল্লাহর শপথ! যদি মুহাম্মদের কন্যা ফাতেমাও চুরি করে আমি তার হাত কেটে দেব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৪৭৫)

    অপরাধীদের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আচরণ ছিল অত্যন্ত মানবিক, ন্যায়সংগত ও কল্যাণের ধারক-বাহক। ঠিক যেমন কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনুগ্রহে আপনি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছেন। যদি আপনি কঠোর হৃদয় ও রূঢ় আচরণকারী হতেন, তবে তারা আপনার পাশ থেকে সরে যেত। আপনি তাদের ক্ষমা করুন। তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং কাজে-কর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।… ’ (সুরা: আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯)

    -আতাউর রহমান খসরু

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    Imam-Hasan

    মহররম পালন করেন ইমাম হোসাইনের অনুগামী যে ব্রাহ্মণরা

    July 4, 2025
    Moharram

    মহররম মাসের সুন্নত আমল কী

    July 4, 2025
    আশুরার রোজা কবে

    আশুরার রোজা কবে, কয়টি রাখতে হয়? যা জানা জরুরি

    July 4, 2025
    সর্বশেষ খবর
    বিজিবি

    ২৩ অসামরিক পদে ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেবে বিজিবি,

    গ্রামে ভালো জীবনযাপন

    গ্রামে ভালো জীবনযাপন: শান্তির সন্ধানে

    বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রক্রিয়া

    বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রক্রিয়া: স্বপ্নকে সত্যি করার ধাপে ধাপে গাইডলাইন

    iQOO

    বাজারে আসছে iQOO 15 Ultra এবং iQOO 15, লিক হল ডিটেইলস

    বিগ বিউটিফুল বিল

    পাস হওয়ার একদিন পরই আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

    পরিবেশ বান্ধব জীবনধারা

    পরিবেশ বান্ধব জীবনধারা: আপনার শুরু করার সহজ উপায়

    ঘরোয়া মাস্ক

    ঘরোয়া মাস্ক দিয়ে মুখ ফর্সা: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সহজ ও সাশ্রয়ী রাস্তা!

    বিয়ের রহস্য

    সফল বিয়ের রহস্য: চিরসুখী দাম্পত্যের সেই গোপন মন্ত্র যা জানা থাকলে বদলে যায় সবকিছু

    বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্ব

    বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্ব গভীর করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: নেপাল রাষ্ট্রদূত

    মিড ডে মিল

    ৩১ লাখ শিশু শিক্ষার্থীর ‘মিড ডে মিল’ পেতে অপেক্ষা বাড়লো

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.