জুমবাংলা ডেস্ক : মা’দকের গ্রাম হিসাবে পরিচিত চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী আকুন্দবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়েছে র্যাব পুলিশ ও বিজিবির প্রায় দুই শতাধিক সদস্য। শনিবার (১৪ মার্চ) বিকালে গোটা গ্রাম ঘিরে ঘন্টাব্যাপী এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন ‘ড্রাগ ক্লীন’। তবে অভিযানে তেমন সফলতা পায়নি অপারেশন ড্রাগ ক্লিনের সদস্যরা। এত জনবল নিয়ে অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে দুই নারীসহ চারজন মা’দক ব্যবসায়ী।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, মা’দকের গ্রাম হিসাবে পরিচিত আকুন্দবাড়িয়া গ্রামে অভিযানের জন্য জেলার ৫টি থানা ও ৩৭টি ক্যাম্প থেকে চৌকস পুলিশ সদস্যদের লাইনে নেওয়া হয়। শনিবার সকালে পুলিশ লাইনে নিয়ে তাদেরকে ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। তবে অভিযান সম্পর্কে কঠোর গোপনীয়তায় রক্ষা করা হয়। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন ড্রাগ ক্লিন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস জানান, ব্রিফিং শেষে বিকাল চারটার দিকে অপারেশন ড্রাগ ক্লিন শুরু হয়। এই অভিযানে যোগ দেন র্যাব-৬, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ব্যাটালিয়ন, মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রায় দুই শতাধিক সদস্য। বিকাল সাড়ে চার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ভারত সীমান্তবর্তী আকুন্দবাড়িয়া গ্রাম ঘিরে রেখে অভিযান পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে যোগ দেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারসহ বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানের খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৩০টি যানবাহন নিয়ে অভিযান শুরু হয়েছে অপারেশন ড্রাগ ক্লিন। এর মধ্যে আসামী বহনের জন্য রয়েছে ২ যাত্রীবাহী বাস ও ৫টি প্রিজন ভ্যান। গোটা গ্রামের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অপারেশন টিমের সদস্যরা মা’দক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হানা দিচ্ছেন। তবে গোটা গ্রামের কয়েকটি বাড়ি বাদে মা’দক ব্যবসায়ীদের সকলের বাড়িতে ছিল তালা ঝুলানো। অভিযানের খবর আগে ভাগে পেয়েই গ্রাম থেকে সটকে পড়ে তালিকাভুক্ত চিহ্নিত মা’দক ব্যবসায়ীরা। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান জানান, অভিযানে চিহ্নিত মা’দক ব্যবসায়ী রনি মিয়া, ইস্রাফিল হোসেন, নাজমা বেগম ও সেলিনা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে কোন মা’দকদ্রব্য উদ্ধার করতে পারেনি আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অপারেশন ড্রাগ ক্লিন টিমের কমান্ডিং অফিসার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, মা’দক ব্যবসায়ীদের একটি বার্তা দিতেই মূলত অপারেশনটি চালানো হয়। অভিযানের আটকের সংখ্যাটিকে বড় করে দেখার কিছু নেই। এই অভিযান জেলাব্যাপি চালানো হবে। মা’দক ব্যবসায়ীদের শিকড় উপড়ে না ফেলা পর্যন্ত অভিযান চলবে। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, প্রথম ধাপে মূলত অভিযানটি আকুন্দবড়িয়া গ্রাম থেকে শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে মা’দক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে বাড়িয়ে গিয়ে অভিযান পরিচালিত হবে। মা’দকের সাথে সম্পৃক্ত কাউকেই কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তারা যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।