বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ইন্টারনেটকেন্দ্রিক মেসেজিং অ্যাপ সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। অফিসিয়াল কাজ থেকে শুরু করে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগকে যেন প্রাণবন্ত করেছে সামাজিক অ্যাপগুলো।
ফেসবুক মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপ সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হলেও বর্তমানে আরেকটি মেসেজিং অ্যাপ সুরক্ষিত মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যার নাম টেলিগ্রাম।
অনন্য বৈশিষ্ট্য
দ্রুত বার্তা বিনিময়ে টেলিগ্রাম সহজ ও নিরাপদ অ্যাপ।
একাধিক ডিভাইসে একই সময়ে টেলিগ্রাম ব্যবহার করা যায়।
বার্তাগুলো যে কোনো স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কোনো ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত সিঙ্ক হয়ে যায়।
বর্ধিত এনক্রিপশন, গোপনীয়তাসহ ক্রস-প্ল্যাটফর্ম মেসেজিং পরিষেবা প্রদানের সুযোগ আছে।
ডাউনলোডে অ্যাপটি মাত্র ১০০ এমবি থেকেও কম জায়গা নেয়।
অ্যাপটি গ্রুপ চ্যাট ও সেলফ-ডেস্ট্রাকটিং মেসেজগুলোও সমর্থন করে।
মাল্টি-ডাটা সেন্টার স্ট্রাকচার, এনক্রিপশন দ্রুত ও নিরাপদ।
সুবিধা
হোয়াটসঅ্যাপ যেখানে মাত্র ২৫৬ জনের গ্রুপ সমর্থন করে, সেখানে টেলিগ্রাম দুই লাখ মানুষের বড় গ্রুপ তৈরির সামর্থ্য রাখে।
প্রাইভেট চ্যাট ও সেলফ-ডেস্ট্রাকটিং মেসেজ ফিচার সম্পূর্ণ নিরাপত্তাসহ চ্যাট সুবিধা দেয়।
উইন্ডোজ, লিনাক্স, অ্যান্ড্রয়েড বা আইএসও ছাড়াও অ্যাপটি বহুমাত্রিক প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বের বহু দেশে বার্ষিক ফি চার্জ করলেও টেলিগ্রাম কিন্তু সারাবিশ্বেই বিনামূল্যে পরিষেবা দেয়।
ইন্টারনেটের গতি ধীর হলেও এখানে বার্তা ও যে কোনো বড় ফাইল পাঠানো সহজ ও দ্রুত হয়।
টেলিগ্রাম ১.৫ জিবি আকারের ফাইল বিনিময় করতে সক্ষম। অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ যেখানে মাত্র ১৬ এমবি আকারের ফাইল বিনিময় করতে পারে।
টেলিগ্রামে পাঠানো ও গ্রহণ করা সব ফাইল ও তথ্য ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষণ করে। ফলে ডিভাইসের মেমোরিতে কোনো বাড়তি চাপ পড়ে না।
অ্যাপটি মূলত ওপেন সোর্সভিত্তিক। ফলে ডেভেলপাররা স্বাধীনভাবে অ্যাপের উন্নয়ন করতে পারেন। নতুন ফাংশন ও বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা সম্ভব; যা প্রতিনিয়তই আপডেট নিয়ে থাকে।
সারাবিশ্বে টেলিগ্রাম নিজের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুণে ধীরে ধীরে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তার ভাগ বসাচ্ছে। বলতে গেলে রীতিমতো হোয়াটসঅ্যাপকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বসেছে। তাই হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিনিয়ত নিজেকে যে ঢেলে সাজাচ্ছে, তা মূলত টেলিগ্রামের চাপ সামলাতেই করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।