স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি দ্বাদশ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের ৯টি ম্যাচই খেলা শেষ আফগানিস্তানের। তবে একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি রশিদ-নবীরা। দলের এমন ভরাডুবিতে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফর্মে অসন্তুষ্টির কথাও স্বীকার করেছেন।
এবারের আসর জমিয়ে তুলতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারিনি আফগানিস্তান। একমাত্র দল হিসেবে সবগুলো ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করল তারা। এদিকে দেশকে একটিও জয় এনে দিতে না পারায় ক্ষমা চেয়েছেন গুলবাদিন। অকপটেই স্বীকার করে নিয়েছেন নিজেদের ভুল ও সীমাবদ্ধতা। তবে সব ম্যাচ হারলেও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট থেকে অনেক কিছু শিখেছেন জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গুলবাদিন বলেন, ‘দলের এমন পারফর্মে আমি খুবই হতাশ। প্রতিটা ম্যাচেই আমরা অনেক ভুল করেছি। আমরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারিনি। তবে এই টুর্নামেন্ট থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি। আমরা নিজেদের শতভাগটা দিয়ে লড়তে পারিনি তাই হেরে গেছি। আমি দেশ ও সমর্থকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
এ সময় মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমানদের পারফর্মে হতাশ অধিনায়ক তাদেরকে বড় নামের ক্রিকেটার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের দলে নবী, রশিদ, মুজিবদের মতো বড় নামের খেলোয়াড় আছে। গত ২-৩ বছর তারা যেভাবে খেলে আসছে তাতে বিশ্বকাপেও তাদের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল।’
তাছাড়া লেগ স্পিনার রশিদ বর্তমানে আইসিসি ওডিআই বোলার র্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন। অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে তিনি আছেন দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তুব নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। উপরন্তু, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে মাত্র ৯ ওভারে ১১০ রান খরচ করে গড়েছেন এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান খরচের লজ্জার রেকর্ড।
এদিকে দুর্দিনে অধিনায়ককে পাশেই পাচ্ছেন এই লেগ স্পিনার। শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেও সফলতা না পাওয়াকে রশিদের দুর্ভাগ্য হিসেবে দেখছেন আফগান অধিনায়ক, ‘রশিদ আমাদের জয়ে ৬০ শতাংশ অবদান রাখে। আমি তার কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা করেছিলাম। সে তার শতভাগ দিয়েও সফল হতে পারেনি। কিন্তু এটা ক্রিকেটেরই অংশ। আপনি এটাকে দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কী বলবেন!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।