জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার বেতাগী উপজেলায় নিজের কোনো ঘর না থাকায় প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে বাস করেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ মকবুল হাওলাদার ও তার ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়ে মীম। গবাদিপশুর বর্জ্যের মধ্যে নিরুপায় হয়ে বসবাস করা আশ্রয়হীন ওই বৃদ্ধ ও তার মেয়েকে দেখার কেউ নেই।
তীব্র শীতে গোয়ালঘরের স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে বিছানো খড়কুটা-ছেঁড়া কম্বল এখন তাদের আশ্রয়স্থল।
গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচার হওয়ার পর বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জার নজরে আসে। তার উদ্যোগে অবশেষে ঘর পেতে যাচ্ছেন বৃদ্ধ মকবুল।
এজন্য এরই মধ্যে বরগুনার পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই নিজের ঘরে থাকতে পারবেন মকবুল।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, মকবুল হাওলাদার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জিলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি খালেক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির একটি গোয়ালঘরে বসবাস করছেন মেয়েকে নিয়ে। বয়সের ভারে ন্যুজ বৃদ্ধ মকবুল হাওলাদারের দিন কাটে মানুষের কাছে হাত পেতে। পেটের দায়ে রোগা শরীর নিয়ে লাঠি এবং মেয়ের কাঁধে ভর দিয়ে খাবারের তাগিদে তাকে ছুটতে হয় গ্রাম থেকে গ্রামে। পুরনো কাপড় আর কিছু হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে গোয়ালঘরে শেষ বয়সের সংসার পেতেছেন এ বৃদ্ধ।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সাত বছর আগে মকবুল হাওলাদারে স্ত্রী মারা যান। তখন মীমের বয়স ৬ বছর। সে সময় মেয়েকে নিয়ে তিনি একটি ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে বসবাস করতেন। ছয় মাস আগে বৃষ্টি আর বাতাসে মকবুলের সেই কুড়ে ঘর মাটির সঙ্গে মিশে যায়। এরপর প্রতিবেশী খালেদ হাওলাদারের গোয়ালঘরে ঠাঁই হয় বাবা ও মেয়ের। প্রায় ছয় মাস ধরে সেখানেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। মকবুল হাওলাদারের চার ছেলে বরগুনার বাইরে দিনমজুরের কাজ করেন। তারা কেউ খোঁজ রাখেন না।
এ বিষয়ে পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আমরা সব সময়ই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। টেলিভিশনে খবর দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুনাকের উদ্যোগে ওই বৃদ্ধ ও তার মেয়ের পাশে দাঁড়াব। আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বসবাসের উপযোগী ঘর করে দিতে পারব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।