আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি কাবুল থেকে পালিয়ে প্রথমে তাজাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেখানে আশ্রয় না পেয়ে বিমান ঘুরিয়ে ওমান পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে তার সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। তবে তিনি বর্তমানে আবু ধাবিতে রয়েছেন বলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়েছে। খবর এপি’র।
বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি’র এক প্রতিবেদনে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করছে যে মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও তার পরিবারকে দেশে স্বাগত জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।’
গত রবিবার তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে ঢোকার পর সরকারের অন্যান্য সঙ্গীদের চারপাশ ঘিরে ফেলার পর আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যান গনি। দেশ ছেড়ে তিনি কোথায় গেছেন বা কোন দেশে আছেন সে সম্পর্কে কয়েকদিনে অনেক জল ঘোলা হয়েছে।
গনির দেশত্যাগের পর প্রথম দিকে শোনা যায় তিনি আফগান সীমান্ত লাগোয়ো তাজিকিস্তানে গেছেন। পরে অবশ্য জানা যায় তিনি গেছেন উজবেকিস্তানে। এরপর দিন খবর আসে তাজিকিস্তান কিংবা উজবেকিস্তান নয় গনি চলে গেছেন ওমানে।
তালেবান রাজধানী কাবুলে প্রবেশের পর আশরাফ গনি চারটি গাড়ি ও হেলিকপ্টার ভর্তি টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। সেই সময় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম আফগান এই প্রেসিডেন্ট প্রথমে তাজিকিস্তানে পরে ওমানে চলে গেছেন বলে খবর দেয়।
২০১৪ সাল থেকে আফগান প্রেসিডেন্ট গনির এমন পলায়ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সরকারের মন্ত্রীরা পালিয়ে যাওয়ার জন্য তার সমালোচনা করেছেন। অনেকে বলছেন, ওইদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা বলে গনি পালিয়ে যান।
গনি পালানোর সময় চারটি গাড়ি ও হেলিকপ্টারে করে বিপুল পরিমাণ অর্থও নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে কাবুলে রাশিয়ার দূতাবাস। দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ এই তথ্য জানায়।
কাবুলে রাশিয়া দূতাবাসের মুখপাত্র নিকিতা ইশচেঙ্কো বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তি ছিল চারটি গাড়ি, তাছাড়া একটি হেলিকপ্টারেও অর্থের একটি অংশ তোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জায়গা না হওয়ায় অনেক অর্থ টারমার্কে ফেলে যায়।’
দেশের মানুষকে তালেবানের হুমকির মধ্যে ফেলে দেশ ছাড়ার পর আশরাফ গনি এক ফেসবুক পোস্টে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছিলেন, ‘স্বদেশিদের মধ্যে রক্তপাত এড়াতে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া তার হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।