বিনোদন ডেস্ক: বাকি এখনও বেশ কয়েকটা দিন। সময়ের কিছুটা আগেই উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া রাজবাড়িতে পুজো-পুজো ভাব। বড় ছেলে আদিত্য এসেছে বিদেশ থেকে। রোহন সেনের নতুন ছবি ‘শুভ বিজয়া’। পুজোর প্রেক্ষাপটে যে ছবি। আদিত্যের চরিত্রে বনি সেনগুপ্ত। শ্যুটিংয়ের মাঝেই পাওয়া গেল অভিনেতাকে। কথা বলেন আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদক উৎসা হাজরার নেওয়া সেই সাক্ষাৎকটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন: এই মুহূর্তে আপনার রাজনৈতিক অবস্থান কী?
বনি: এখন রাজনীতি থেকে শতহস্ত দূরে। পর পর কাজ করছি। সিনেমার মধ্যে আছি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তখন হঠাৎ করে মানুষের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হত, ঝগড়া হয়ে যেত। সেখান থেকে বেরিয়ে এখন অনেক শান্তিতে আছি। পরে ইচ্ছা হলে আবার ভেবে দেখব।
প্রশ্ন: ঝুলিতে তো প্রচুর ছবি। ইদানীং নতুন পরিচালকদের সঙ্গে বেশি কাজ করছেন। কোনও বিশেষ কারণ?
বনি: যখন নতুন ছিলাম, তখন রাজদা যদি আমাকে সুযোগ না দিতেন, তা হলে আজ এই কাজগুলো করতে পারতাম না। সেখান থেকেই আমার মনে হয়, নতুনদের সব সময় সুযোগ করে দেওয়া উচিত। রোহনের মধ্যেও সেই ইচ্ছেটাই দেখতে পেয়েছি। আর এখন আর বাণিজ্যিক ছবি আর সমান্তরাল ছবির কোনও ভাগাভাগি নেই। ‘শুভ বিজয়া’ নিয়েও কিন্তু বেশ চর্চা হচ্ছে।
প্রশ্ন : অনেক চর্চার পরও কি বাংলা ছবি ব্যবসা করছে?
বনি: দর্শককেও আমাদের কথা বুঝতে হবে। বর্তমানে অনেকেরই ধারণা হিন্দি আর দক্ষিণী সিনেমা মানেই তা ভাল। বাংলা সিনেমা মানে তেমনটা নয়, সেই ধারণাটা বদলাতে হবে। আগে ৭০-৮০ দিনে ছবি তৈরি হত। এখন তা নেমে এসেছে ১৫-১৬ দিনে।
প্রশ্ন: আপনিও তো এখন প্রযোজক, ৭০-৮০ দিনে ছবি তৈরি করবেন?
বনি: পারছি না তো। আমার কাছেও সীমিত পুঁজি আছে। আমি তো কোটি টাকার ক্ষতি হলে পরের ছবিটা তৈরি করতে পারব না। সেই কথাও তো ভাবতে হবে। তবে এই ছবির ক্ষেত্রে আমার আশা আছে।
প্রশ্ন: হঠাৎ প্রযোজক হওয়ার ইচ্ছে হল কেন?
বনি: কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আজকাল সবাই হয় মহিলাকেন্দ্রিক না হলে থ্রিলারধর্মী ছবির দিকে ঝুঁকছে। সহজ গল্প আজকাল কেউ বলতেই চায় না। সেই ভাবনা থেকেই প্রযোজক হওয়ার সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন: দেব, জিৎ সঙ্গে এসভিএফ, সুরিন্দর ফিল্মস— কলকাতায় এত প্রযোজক। আপনার প্রতিযোগী কে?
বনি: কারও সঙ্গেই আমার প্রতিযোগিতা নেই আপাতত। পুজোয় এত ছবির ভিড়ে আসতে চাইছি না। আমি ফাঁকা সময়ে দর্শককে ছবি দেখাতে চাই। ভিড়ে আমার ছবি হারিয়ে যাক সেটা চাই না।
প্রশ্ন: বনি-কৌশানির বিচ্ছেদ। এটা কি ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ ছিল?
বনি: না, আমাদের মধ্যে একটা ঝগড়া হয়েছিল। প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে যেমন হয় সেটাই হয়েছিল। সেটা ভুল করে কোনও মিডিয়ার সামনে হয় বলে, এত আলোচনা হয়েছিল।
প্রশ্ন: তা হলে এর থেকে কী শিক্ষা পেলেন?
বনি: এর থেকে একটাই শিক্ষা পেলাম, ঝগড়া করব। কিন্তু স্থান, কাল, পাত্র বুঝে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।