
জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের মেয়ে অন্তরা সরকার (১৮) বিয়ের দাবিতে চাঁদপুরের কচুয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ও ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অবশেষে প্রেমিক শম্ভু সরকারের সাথে বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে।
বুধবার রাত ১০টায় কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের বড়-হায়াতপুর গ্রামে সরকার বাড়িতে পারিবারিকভাবে প্রেমিক শম্ভু সরকারের সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে তার। বিয়েতে দুই পরিবারের আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। আর ওই বিয়ের মধ্যদিয়ে তাদের চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের শুভ পরিণয় ঘটলো।
এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষারা এলাকার লিটন সরকারের মেয়ে কলেজছাত্রী অন্তরা সরকার পরিবারের কাউকে না বলে বিয়ের দাবিতে বাড়ি থেকে তার প্রেমিক কচুয়া উপজেলার বড় হায়াতপুর গ্রামে পরেশ সরকারের ছেলে শম্ভু সরকারের বাড়িতে চলে যান। এ সময় শম্ভুর ঘরে লোকজন না থাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: মানিক হোসেন একই বাড়ির গ্রাম পুলিশ সুনীল সরকারের ঘরে মেয়েটিকে আশ্রয় দেয়। তবে এ ঘটনায় এলাকার উৎসুক জনতা মেয়েটিকে একনজর দেখার জন্য ছেলের বাড়িতে ভিড় জমায়।
বাকবিতণ্ডার একপর্যায় মেয়েটি ঘুমের ওষুধ খেলে কচুয়া থানার এসআই মো: মামুনুর রশিদ সরকার মামুন ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন। এ সময় মেয়েটির হাত ব্যাগে কিছু ঘুমের ওষুধের খালি পাতা এবং তার পরিবারকে লেখা একটি চিঠি পাওয়া যায়। এসআই মো: মামুনুর রশিদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রেমিকা অন্তরা সরকার জানায়, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ চার বছর ধরে শম্ভু আমার সাথে সম্পর্ক করে আসছে। এরপর হঠাৎ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি আমি তাকে বেশ কয়েকবার ফোন দিলে সে আমাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে এবং আমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তার কোনোপ্রকার খোঁজ না পেয়ে আমি বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে এসেছি।
প্রেমিক শম্ভু সরকারের মা বলেন, বিয়েতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমার বড় ছেলে ঢাকা থেকে এসেছে। মেয়ের অভিভাবকরা এসেছে। দুই পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে এ বিয়ে হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক হোসেন বলেন, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাস শুভর নির্দেশে একজন ইউপি সদস্য হিসেবে মেয়েটিকে নিজের হেফাজতে রেখে বিয়ে দিতে পেরেছি।
বিয়েতে উপস্থিত কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, এক দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৮ নভেম্বর বুধবার গভীর রাতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বর শম্ভু সরকারের বাড়িতে হিন্দু ধর্ম মতে পুরোহিতের মাধ্যমে স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক হোসেনের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের পর তাদের জীবন যেন ভালোভাবে কাটে সেটাই এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।