আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতিহাস গড়ে প্রথমবার মহাকাশচারীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ভিড়ল বেসরকারি সংস্থা স্পেসএক্সের তৈরি মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। রবিবার আন্তর্জাতিক সময় দুপুর আড়াইটায় মহাকাশ স্টেশনে পোঁছায় যানটি। এরমধ্য দিয়ে এ অভিযান বাণিজ্যিক মহাকাশযাত্রার পথ খুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যাত্রা শুরুর প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর রবিবার আন্তর্জাতিক সময় দুপুর আড়াইটায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান মহাকাশচারী বব বেনকেন ও ডাগ হারলে। প্রথমবার মহাকাশচারীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ভিড়ল বেসরকারি সংস্থা স্পেস এক্সের তৈরির মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। একইসঙ্গে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার তৈরি রকেটে চড়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গেলেন দুই মহাকাশচারী।
এর আগে শনিবার বেলা ৩টা ২২ মিনিটে ফ্লোরিডার ক্যানাভেরাল অন্তরীপ থেকে ফ্যালকন নাইন রকেটে চড়ে মহাকাশে পৌঁছায় স্পেস এক্সের তৈরি ড্রাগন ক্যাপসুল। এই উৎক্ষেপণের ফলে মানুষের মহাকাশ অভিযানের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো বলে মনে করছেন অনেকে। বাণিজ্যিক মহাকাশযাত্রার পথ খুলে দিল এ অভিযান।
মহাকাশযানটি তৈরি করেছে স্পেস এক্স। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেস এক্স তৈরি ফ্যালকন ৯ রকেটটি মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। স্পেস এক্সই প্রথম বেসরকারি সংস্থা যারা মহাকাশে রকেটে মানুষকে পাঠাল। রকেট বেসরকারি সংস্থার তৈরি হলেও তা মহাকাশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। উৎক্ষেপণের আগে স্পেস এক্স, নাসা ও মহাকাশচারীদের শুভেচ্ছা জানান ট্রাম্প। বলেন, এটা দেশের কাছে বড় অনুপ্রেরণার বিষয়।
তবে মহাকাশে কোনও বস্তু পাঠানো যতটা কঠিন, তাকে মহাকাশ থেকে ফিরিয়ে আনা তার থেকেও কয়েক গুণ বেশি চ্যালেঞ্জিং বলে স্পেস এক্স ড্রাগনের পৃথিবীতে ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।