স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে করোনার হাত থেকে রেহাই পেলেন য়্যুভেন্তাসের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। আর, ব্রাজিলিয়ান শীর্ষস্থানীয় ক্লাব ফ্লামেঙ্গোর তিন ফুটবলারের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে এই আতঙ্কের মাঝেও স্বস্তিতেই আছে এশিয়ার দেশ দক্ষিণ করিয়া। মাঠে গড়িয়েছে কে-লিগ।
বাঘ আর রাখাল ছেলের গল্পটা নিশ্চয় সবারই জানা আছে। যদিও রাখাল ছেলের মতো ধূর্ত নয় পাওলো দিবালা। তবে তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে তো গল্পটা প্রাসঙ্গিক। ইতালীতে প্রথম দিকেই গুজব উঠেছিলো আক্রান্ত হয়েছেন দিবালা। যদিও পরে জানা যায় তার বান্ধবী ছিলেন করোনা পজিটিভ।
সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও সপ্তাহ খানেক পরেই সত্যিকার বাঘ আসে। কোভিড ১৯ এর শিকার হোন তুরিনোরে এই আর্জেন্টাইন তারকা। ২১ মার্চ থেকে আইসোলেশনে যেতে হয়েছিলো এই তারকা ফুটবলারকে। এরপর ৩ দফায় পরিক্ষা করেও কোনো সুখবর পাননি এই ওয়ান্ডার বয়। অবশেষে ৬ সপ্তাহে ৪র্থবারের মতো পরিক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। স্বস্তি ফিরেছে তুরিনের বুড়িদের। সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে নামতে তাই আর কোনো বাঁধা নেই।
এদিকে, ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গোর কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ। রিও ডি জেনিরোতে ফুটবলার, স্টাফ ও তাদের পরিবারের মোট ২৯৩ সদস্যের কোভিড পরীক্ষা করায় ফ্লামেঙ্গো। যার মধ্যে তিন ফুটবলারসহ ৩৮ জনের নমুনায় মিলেছে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। তবে আক্রান্ত কারও নাম প্রকাশ করেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এর আগে সোমবার ক্লাবটিতে ৪০ বছর ধরে কাজ করা একজন স্টাফ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তবে পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় যেনো অনেকটাই স্বস্তিতে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। দক্ষিণ কোরিয়ায় মাঠে গড়াতে যাচ্ছে পেশাদার ফুটবলের আসর কে-লিগের ২০২০ মৌসুম। হাজার খানেক ফুটবলার ও স্টাফদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি ঝুঁকি এড়াতে যুক্ত করা হচ্ছে নতুন আইনও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।