ব্ল্যাক হোল দীর্ঘকাল ধরে বিজ্ঞানীদের কাছে একটি রহস্য, কিন্তু তাদের বর্ণনা করা তুলনামূলকভাবে সহজ বলে মনে করা হয়। তাদের বর্ণনা করার জন্য গবেষকদের শুধুমাত্র তিনটি প্যারামিটারের প্রয়োজন ছিল: তাদের ভর, তাদের কৌণিক ভরবেগ (তারা কত দ্রুত ঘুরছে), এবং তাদের বৈদ্যুতিক চার্জ।
যাইহোক, 1976 সালে স্টিফেন হকিং একটি প্যারাডক্স এর কথা বলেছিলেন। এটি হচ্ছে ব্ল্যাক হোল এর মাধ্যমে তথ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী তথ্য ধ্বংস করা সম্ভব না। সুতরাং, বিজ্ঞানীরা এখানে কী ঘটছে তা বের করার চেষ্টা করছেন।
হকিং যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ব্ল্যাক হোল তথ্য ধ্বংস করছে কারণ তারা যে বিকিরণ নির্গত (হকিং বিকিরণ নামে পরিচিত) করছে তা তাপীয়, যার অর্থ এটি তথ্য বহন করতে পারে না। যদি বিকিরণ তথ্য বহন করতে না পারে, এবং তথ্য চিরকালের জন্য ব্ল্যাক হোলে আটকে থাকতে না পারে, তবে এটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা। যাইহোক, একদল গবেষক সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন যেখানে বলা হয়েছে যে, আসলে তথ্য সর্বোপরি ধ্বংস হচ্ছে না যেভাবে দাবি করা হয়।
গত বছর, একই গ্রুপের গবেষকরা একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে ব্ল্যাক হোল এর ক্ষেত্রে “কোয়ান্টাম হেয়ার” শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি কোয়ান্টাম রিলমে এক ধরণের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্ত করতে পারেন যা নির্দেশ করে যে, কোয়ান্টাম হেয়ারে অনুপস্থিত তথ্য রয়েছে।
এখন, গবেষকদের প্রকাশ করা নতুন গবেষণায় হেয়ার প্যারাডক্স সমাধানের চাবিকাঠি উল্লেখ করা হয়েছে। ব্ল্যাক হোল থেকে সাধারণত বের হওয়া যায় না। তবে হকিংয়ের গবেষণা তথ্য থেকে দেখা যায় যে, ব্ল্যাক হোল থেকে বেরিয়ে আসা একমাত্র জিনিসটি ছিল তথ্যহীন তাপীয় বিকিরণ। কিন্তু এখানে আরেকটি উপাদানের কথা বলা হয়েছে। সেটি হলো কোয়ান্টাম মাধ্যাকর্ষণ। এ বিষয়টি হকিং তেমন বিবেচনায় নেননি। হকিং বিকিরণ ব্ল্যাক হোল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মহাবিশ্বে নিয়ে যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।