বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : অবসর সময় কাটানোর জন্য অধিকাংশ মানুষই এখন বেছে নিচ্ছেন মোবাইল গেমসকে। পাশাপাশি লাইভ স্ট্রিমিং করে মোবাইলের এইসব গেমসকে কেন্দ্র করে আয়ও করছেন অনেকে।
এমন বেশ কিছু মোবাইল গেমস এখন ইন্টারনেটে প্রচলিত আছে যেগুলো দেশ ও দেশের বাইরে প্রচুর পরিমাণে সাড়া ফেলেছে। এদের গ্রাফিক্স এবং নানাবিধ ফিচার দিনকে দিন আকর্ষণ করছে তরুণ প্রজন্মসহ সব বয়সের স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীদের।
আসুন জেনে নিই এমন ৫টি মোবাইল গেমস সম্পর্কে যারা বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের মোবাইল গেমারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।
ক্যান্ডি ক্রাশ সাগা
যারা ধাঁধা খেলতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য ক্যান্ডি ক্রাশ সাগা এক অসাধারণ গেম। যে কোনো পরিস্থিতিতে সময় কাটানো এবং যে কোনো বয়সের মানুষের জন্য পছন্দের শীর্ষে থাকে এই গেমটি। গেমটির একের পর এক ধাপ পার হতে বিভিন্ন আকৃতির ক্যান্ডি মিলিয়ে বুদ্ধি খরচ করতে হয় এই গেমে। গেমস ইন্ড্রাস্ট্রির এক প্রতিবেদন বলছে, ২০১২ সালে গেমটি বাজারে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩ বিলিয়ন বারেরও অধিক ডাউনলোড হয়েছে।
এইট বল পুল
শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় বরং পুরো বিশ্বেই জনপ্রিয় এক গেমের নাম এইট বল পুল। মিনিক্লিপ প্রতিষ্ঠানের গেমটির বাস্তব থ্রিডি গ্রাফিক্স এবং অসাধারণ সব ফিচারের জন্য এর ব্যবহারকারীর রীতিমতো গেমটি আসক্তিতে পড়ে যান। অনলাইন কয়েন ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আন্তর্জাতিক খেলোয়ারদের সঙ্গে টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ রয়েছে এখানে।
২০১৩ সালে বাজারে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ বিলিয়নেরও বেশিবার ইতোমধ্যে ডাউনলোড হয়েছে গেমটি।
ই-ফুটবল
অনলাইন ফুটবল গেমগুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় মোবাইল ভার্সন তৈরি করেছে কোনামি। ২০২২ সালে এটি গুগল প্লে স্টোরে সংযুক্ত হলেও ২০১৯ সালে অনলাইন বাজারে আসার পর থেকেই শীর্ষে অবস্থান করছে গেমটি। শুধুমাত্র গুগলেই বিলিয়নের উপর ডাউনলোড হয়েছে।
ফুটবল ইতিহাসের সব কৃতিমান ফুটবলার থেকে শুরু করে বর্তমান সেরা খেলোয়ারদেরকে একটি অনলাইন প্লাটফর্মে আনা হয়েছে গেমে, পাশাপাশি একদম বাস্তব দেখতে থ্রিডি ভার্সন তৈরি করেছে কোনামি প্রতিষ্ঠানটি। তাই মেসি, নেইমার, রোনালদো কিংবা ম্যারাডোনা, ব্যাকহামদের মতো খেলোয়ারদের নিয়ে দল সাজিয়ে গেম খেলার অনুভূতি পায় এর ব্যবহারকারীরা। তাছাড়া মাল্টিপ্লেয়ার বা একাধিক ব্যবহারকারীদের মধ্যে উত্তেজনাকর ফুটবলের স্বাদ পাওয়া যায় এই গেমে।
পাবজি
৯৯ জন খেলোয়াড় বা একাউন্টধারীকে কোনো সরঞ্জাম ছাড়াই পাঠিয়ে দেয়া হয় একটি বিশাল অঞ্চলে। এরপর সেখানে অস্ত্র, গোলাবারুদ, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, এমনকি গাড়ি পর্যন্ত যোগাড় করে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকে। জয়ী হবে সে বা তারা, যারা অন্য সবাইকে যুদ্ধে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে খেলায়। এমনই মজার এবং উত্তেজনাকর এক থিম নিয়ে লেভেল ইনফিনিট ২০১৮ সালে বাজারে আনে প্লেয়ার আননোওন ব্যাটল গ্রাইন্ড বা পাবজি নামের গেমটিকে।
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে এখন পর্যন্ত ১.৩ বিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে গেমটি। চরম আসক্তির জন্য এখন পর্যন্ত কয়েকবার গেমটিকে বাংলাদেশসহ কয়েকদেশে নিষিদ্ধ করা হয়।
বাস সিমুলেটর বাংলাদেশ
বাস সিমুলেটর বাংলাদেশ গেমটি ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট বাজারে আসার পর থেকে বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাইরের দেশের গেমাররাও এই গেমের গ্রাফিক্স ও অন্যান্য ফিচারগুলো নিয়ে প্রশংসা করেছে। যারা বাস সিমুলেটরের অন্যান্য ভার্সনগুলো ইতোমধ্যেই খেলেছেন তাদের জন্য বাংলাদেশের রাস্তায় এমন থ্রি ডি সিমুলেটর গেম অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষিত ছিল।
গেমটি ঘোস্ট ইন্টারেক্টিভ প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা। এন্ড্রয়েড ভার্সন ৫.১ এবং এর উপরের সব ব্যবহারকারীর ডিভাইসে গেমটি চলবে। শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর থেকেই এখন পর্যন্ত ১০ লক্ষাধিক বার গেমটি ডাইনলোড হয়ে ৪.১ রেটিংয়ে অবস্থান করছে। বাস সিমুলেটর গেম পছন্দ করেন, এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি বাংলাদেশের রাস্তার আদলে বানানো থ্রিডি মোশন গ্রাফিক্সে পাবেন অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের সত্যিকারের ল্যান্ডমার্ক এবং বিল্ডিং এর গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়েছে এতে। তাছাড়া মাল্টিপ্লেয়ার বা একাধিক বন্ধুদের সঙ্গে খেলার ব্যবস্থা থাকায় অল্প সময়েই গেম ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে, কেউ কেউ এর বিজ্ঞাপনজনিত কারণে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।