আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ১৩ বছরের মেয়েটিকে ডাক্তারের কাছে নেয়া জরুরি ছিল৷ ‘ঈশ্বর সুস্থ করে দেবেন’ ভেবে বাবা-মা তাকে ঘরেই রেখে দেন৷ মেয়েটি বাঁচতে পারেনি৷ ‘অবহেলা করে হত্যা’র অভিযোগে ধার্মিক বাবা-মা-কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অস্ট্রিয়ার আদালত৷ খবর ডয়চে ভেলের।
উজবেকিস্তানে জন্ম নেয়া ৩৯ বছর বয়সি এক জার্মান এবং তার ৩৫ বছর বয়সি জার্মান স্ত্রীর আট সন্তান৷ সন্তানদের নিয়ে আট বছর আগে তারা জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়ায় চলে যান৷ জানা গেছে, সন্তানদের স্কুলে না পাঠিয়ে ঘরে লেখাপড়া করাতে চান বলে অস্ট্রিয়ায় বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি৷
জার্মানিতে শিশুদের স্কুলে লেখাপড়া করা বাধ্যতামূলক৷ কিন্তু অস্ট্রিয়ায় বাবা-মা চাইলে সন্তানদের বাড়িতেও লেখাপড়া করাতে পারেন৷
অগ্নাশয়ের জটিল রোগে মারা যাওয়া মেয়েটি প্রথম অসুস্থ হয়েছিল ২০১৭ সালে৷ চিকিৎসা না করানোয় রোগ সারছিল না৷মেয়েটির আত্মীয়রা বিষয়টি তখন স্থানীয় শিশু সুরক্ষা সংস্থাকে জানান৷ কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বললে জার্মান দম্পতি আশ্বাস দেন শিগগিরই তারা তা করবেন৷ কিন্তু তারপর দুই বছর পার হলেও মেয়েটিকে ডাক্তার দেখানো হয়নি৷
২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মেয়েটির পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়৷বাবা-মা ভেবেছিলেন প্রথম ঋতুস্রাবের ব্যথা৷ এক পর্যায়েই মারা যায় মেয়েটি৷
বুধবার সন্তানকে ‘অবহেলা করে হত্যার’ অভিযোগে জার্মান দম্পতিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে অস্ট্রিয়ার ক্রেমস আন ডেয়ার ডোনাউ-এর আদালত৷
মামলার শুনানির সময় মেয়েটির বাবা দাবি করেন, মৃত্যুর আগে মেয়েকে তারা ডাক্তারের কাছে নিতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু মেয়ে রাজি না হওয়ায় তিনি তার সুস্থতা কামনা করে উপবাস করেন৷ আদালতকে তিনি বলেন, ‘‘আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি, ওর মাথায় হাত বুলিয়েছি, পানি পান করতে দিয়েছি৷ আমার বিশ্বাস ছিল ঈশ্বর ওকে সুস্থ করে দেবেন৷’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।