চলতি বছরে জমি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাছে হয়রানির শিকার হন মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী কাদম্বরী জেঠওয়ানি। মিথ্যা তথ্য ও কাগজ সামনে এনে অভিনেত্রী ও তার বাবা-মাকে জেলে পাঠায় পুলিশ।
বিজয়ওয়ারা কারাগারে বাবা-মাসহ ৪৩ দিন থাকতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এবার সেই মামলার তদন্ত পুনরায় শুরু হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ইতোমধ্যেই ওয়েস্ট জোন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ অর্থাৎ এসিপি হনুমন্ত রাও ও ইব্রাহিমপত্তনম থানার পুলিশ অফিসার এম সত্য নারায়নকে বরখাস্ত করেছে৷
শনিবার ডায়রেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ দ্বারকা তিরুমালা রাও সাসপেনশন অর্ডার জারি করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কাদম্বরী যখন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন, তখন হনুমন্ত রাও বিজয়বরাতে আসেন। এই মামলার তদন্তে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সিআই সত্যনারায়ণ ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা যিনি মামলা তদন্ত না করেই নথিভুক্ত করেন।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স থানায় সজ্জন জিন্দালের বিরুদ্ধে ‘যৌ.ন হেনস্তার’ অভিযোগ করার পর কাদম্বরীকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। পুলিশ প্রথমে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। পরে ডিসেম্বরে আদালতের হস্তক্ষেপের পরে জিন্দালের বিরুদ্ধে মামলা করেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর অভিযোগ, জিন্দালের বিরুদ্ধে ‘যৌন নির্যাতনের’ মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তা কান্তি রানা টাটা ও বিশাল গুন্নি তৎকালীন সরকারের প্রভাবে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাঁকে চুপ করে দিয়েছিলেন। তাদের আরোপিত কিছু শর্তে রাজি হওয়ার পরই তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
এখানেই শেষ নয়, ফেব্রুয়ারি মাসে যুবজনা শ্রমিকা রাইথু কংগ্রেস পার্টির নেতা কুক্কালা বিদ্যাসাগর অভিনেত্রী ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা করেন। এই মামলায় পুলিশ কাদম্বরী জেঠওয়ানি ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। এখন অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা এবং হেনস্তার বিষয়ে পুনঃ তদন্ত করছে। বিজয়ওয়াড়ার পুলিশ কমিশনার সেন্ট্রাল ক্রাইম স্টেশন থেকে এসিপি শ্রাবন্তী রায়কে নিয়োগ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।