বিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী বৈশালী টক্করের মৃত্যু ভারতের বিনোদন জগতকে অনেক বড় একটি ধাক্কা দিয়েছে। একজন ওঠতি তারকার এমন মৃত্যু গভীর শোকের মধ্যে ফেলে দিয়েছে তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সহ-শিল্পীদের। ১৬ অক্টোবর বৈশালী টক্করকে তাঁর ইন্দোরের বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসক অভিনেত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে জীবিত থাকাকালীন বৈশালী সবসময় মনে একটি মহৎ উদ্দেশ্য লালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর নিজের সেই ‘শেষ ইচ্ছাটি’ পূরণের স্বপ্ন দেখতেন এই অভিনেত্রী। এখন তাঁর পরিবার তাঁর শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
পিপল নিউজ ক্রনিকল এর প্রতিবেদন অনুসারে, বৈশালী টক্করের পরিবার অভিনেত্রীর শেষ ইচ্ছা পূরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি প্রকাশনার সাথে কথোপকথনে বৈশালীর ভাই নীরাজ টক্কর বলেছেন যে, বৈশালী তাঁর চোখ পছন্দ করতেন এবং প্রায়শই তাঁর মৃত্যুর পরে চোখ দান করার কথা বলতেন। নীরাজ তাঁর মায়ের সাথেও একই কথা বলেছেন এবং তাঁর পুরো পরিবার বৈশালীর শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে পারস্পরিকভাবে সম্মত হয়েছে। ১৬ অক্টোবর তাঁর শেষকৃত্যের আগে বৈশালীর পরিবার জেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে বৈশালীর চোখ দান করেছে যাতে সেগুলো অন্য কারো কাজে লাগে।
এদিকে বৈশালীর মৃত্যুতে তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বৈশালী টক্করের লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে তাঁর প্রতিবেশী এবং প্রাক্তন প্রেমিক রাহুল নাভলানি এবং তাঁর স্ত্রী দিশার কারণেই এই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। নোটে বৈশালী উল্লেখ করেছেন যে তিনি অন্য একজনকে বিয়ে করতে চলেছেন, কিন্তু তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক রাহুল তাকে এই বিষয়ে বিরক্ত করছে। বৈশালীর চিঠি পাবার পরপরই রাহুলের খোঁজে নেমে পড়ে পুলিশ। ৩ দিন পলাতক থাকার পর ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাহুলকে। তবে তাঁর স্ত্রী দিশা এখনো পলাতক রয়েছে।
বৈশালি টক্কর ২০১৫ সালে ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহেলাতা হ্যায়’ টিভি নাটক দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। অভিনেত্রী ইয়ে ভাদা রাহা, সাসুরাল সিমার কা, সুপার সিস্টারস, ভিশ ইয়া অমৃত: সিতারা, মনমোহিনী ২ সহ আরো অনেক টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। তাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ‘রক্ষাবন্ধন’-এ, যেখানে তিনি অভিনেতা নিশান্ত মালকানির বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের খুব কাছের বন্ধু ছিলেন বৈশালী।
সূত্র : পিঙ্ক ভিলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।