জুমবাংলা ডেস্ক : ১৩ বছরের মেয়ে সানজিদা আক্তার রিমি। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু মা-বাবার ওপর অভিমান করে এই প্রথম ঢাকা শহরে আসে। তবে আসার পর সে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে যায়।
তাকে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক পুলিশ। এরপর তার মা-বাবাকে খবর দিয়ে ঢাকায় এনেছে এবং তাদের কাছে মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ট্রাফিক-মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আশফাক আহমেদ। তিনি বলেন, গতকাল রবিবার সকাল ১০টার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকার সামনে মেয়েটিকে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত লোকজন মেয়েটিকে বাসে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় একজন পথচারী দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. ইকরামুল আলমকে জানান। তিনি তখন মেয়েটিকে মহাখালী ট্রাফিক জোন অফিসে নিয়ে আসেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়, তার বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায়।বিভিন্ন কারণে শনিবার রাতে মা-বাবার সঙ্গে সে অভিমান করে। পরের দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মেয়েটি একা একা চন্দ্রা মোড় থেকে মহাখালী বাস টার্মিনালের বাসে করে প্রথমবারের মতো ঢাকা শহরে চলে আসে। মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় নেমে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যায়।
‘পরবর্তীসময়ে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার বাবা-মার সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করি আমরা। মেয়ের খোঁজ পেয়ে তারা তড়িঘড়ি করে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। তার বাবা-মা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আসার আগ পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন উৎসাহমূলক কথাবার্তা বলা হয় যাতে সে স্বাভাবিক হতে পারে এবং খুশিমনে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফিরে যেতে পারে। তার বাবা-মা ঢাকায় পৌঁছানোর পর মহাখালী ট্রাফিক জোন অফিসে এসে মেয়েকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান,’- বলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আশফাক আহমেদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।