জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হ’ত্যার কারণ ভিন্নমত। সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তির সমালোচনা করেন। আর এ সমালোচনার কারণেই পি’টিয়ে মে’রে ফেলা হয়েছে আবরার ফাহাদকে। আর তাঁকে মে’রেছেন তাঁরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
আবরার হ’ত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা ১০ আসামি গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হ’ত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন ডিবির ঢাকা দক্ষিণের এডিসি রাজিব আল মাসুদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এ তথ্য জানান। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তাকে আইনের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেন তিনি।
এডিসি রাজিব আল মাসুদ বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা যেটা বলেছে, যে হ’ত্যার মোটিভ টি আসলে হ’ত্যার জন্য ছিল না। মা’রপিট করতে করতে এক পর্যয়ে ভিকটিম মা’রা যায়। যাদেরকে আমরা ধরেছি, তারা মারপিটি অংশ গ্রহণ করেছে, এরকমটা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, এজাহারের নাম থাকলে যে কেউ আসামি হবে। বিষয়টা এমন না। বিষয়টা তদন্ত সাপেক্ষে বের করতে হবে। এর ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল, প্রাথমিক ভাবে তারা ধরা পড়েছে। আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, যাদের নাম পেয়েছি, তাদের নাম নোট করেছি। সে ক্ষেত্রে অমিত শাহ কেনো অন্য কেউ যদি থাকে তাদেরকেও ধরা হবে।
এদিকে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ’ত্যাকাণ্ডে একটি ছাত্র সংগঠনের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছ থেকে।
বুয়েটের ইলেক্ট্রনিক এন্ড ইলেট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী যিনি নিজেকে রাহাত নামে পরিচয় দিতে চান, তিনি বলেন, শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির নামে যা চলছে তা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। এসব অত্যাচারগুলা বন্ধ হতে হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।