জুমবাংলা ডেস্ক : কুয়েতে রিমান্ডে থাকা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম ওরফে পাপুলের অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছর সাজা হতে পারে। দেশটির আইন অনুযায়ী কুয়েতে অর্থ ও মানবাপাচার বড় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মানব পাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ কুয়েতে রিমান্ডে থাকা স্বতন্ত্র এমপি শহীদুল ইসলাম ওরফে পাপুল। শনিবার গ্রেফতার হওয়া এই এমপির মামলাটি তদন্ত করছে কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
তবে কুয়েতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কি সাজা হবে পাপুলের। কুয়েতের ২০১৭ সালের এক মামলার রায়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়। দেশটির আইন অনুযায়ী অর্থপাচার প্রমাণিত হলে ৭ বছরের সাজা হবে পাপুলের। সেই সাথে মানব পাচার প্রমাণিত হলে সাজা হবে ১৫ বছর। আর সেক্সুয়াল মানবপাচার প্রমাণিত হলে সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
তবে প্রশ্ন থাকে, ঐ দেশে অপরাধ প্রমাণিত হলে বাংলাদেশে কি তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে। বিষয়টির নানা ব্যাখা থাকলেও সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলছেন অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংসদ সদস্য পদ হারাবেন এই সাংসদ।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন লক্ষীপুরের সংসদ সদস্য পাপুলের বিষয়ে কোন সরকারি তথ্য এখন পর্যন্ত জানায়নি কুয়েত।
তবে এই সংসদ সদস্য কুয়েতে রিমান্ডে কি তথ্য দেন তারওপর নজর থাকবে সবার। কারণ সেদেশে রিমান্ডের তথ্য মামলা প্রমাণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।