বিনোদন ডেস্ক : কলকাতার নবীনা সিনেমা হল লাগোয়া বহুতল সকাল থেকেই ছিল লোকে লোকারণ্য। এসেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির মানুষেরা। মাঝেমধ্যেই উঠছিল কান্নার রোল। অভিষেকের একদা নায়িকারা ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন রোদ্দুর মাথায় নিয়েই। এখন আর পরোয়া নেই কিছুরই। ইন্দ্রাণী হালদার, ইন্দ্রাণী দত্ত… সবাই যেন হঠাৎই হয়ে পড়েছিলেন বাক্যহীন। হঠাৎই বহুতলের সামনে এসে দাঁড়াল এক গাড়ি। চোখে রোদচশমা, সাদা-কালো পোশাক–বেরিয়ে এলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাসনের গ্যারেজের সামনে তখন শায়িত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের নিষ্প্রাণ দেহ।
বন্ধুর দিকে এগিয়ে গেলেন অভিনেত্রী। তারপরেই হঠাৎই বুকফাটা কান্না। অভিষেকের বুকের উপর আছড়ে পড়ে হাউহাউ করে কাঁদতে-কাঁদতে রচনা একটানা বলে চললেন, “কী করে হতে পারে? আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমার বাবার পর যে কয়েকজন মানুষ আমার সবচেয়ে কাছের ছিলেন, তার মধ্যে তুমিই তো একজন। এটা কী করে হতে পারে?” থামানো যাচ্ছিল না তাঁকে। সান্ত্বনা? শোকের কাছে সে-ও বড় ঠুনকো আজ। ইন্দ্রাণী-জয়জিৎ চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু লাভ হয়নি।
রচনার বুক জুড়ে তখন স্বজনহারার শোক। কিছুদিন আগেই বাবাকে হারিয়েছেন, আবারও যেন আত্মীয় বিয়োগ হল তাঁর। না-ই বা থাকল রক্তের সম্পর্ক, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে তাঁর সম্পর্ক আত্মার, বহুতলে ঘটা আজকের এই কয়েক মিনিটের ঘটনাই প্রমাণ দিয়ে গেল তার।
ইন্ডাস্ট্রির ‘মিঠুদা’র মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না গোটা টলিউড। রচনা থেকে ঋতুপর্ণা, প্রসেনজিৎ থেকে তরুণ মজুমদার– কেউ কাঁদছেন, কেউ চুপ, আবার কেউ বা হাতড়াচ্ছেন অতীত। যে মানুষটা বুধবার সন্ধে পর্যন্তও শুটিং করেছেন, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি কী করে চলে যেতে পারেন, এই হিসেব কিছুতেই মেলাতে পারছেন না অভিষেকের এতদিনের সহকর্মীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।