আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে আবার সক্রিয় সিবিআই, ইডি এবং পুলিশ। দুই শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে। খবর ডয়চে ভেলের।
রবিবার সিবিআই অফিসাররা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। তার স্ত্রী রুজিরাকে কয়লা-কাণ্ডে নোটিস দেয়ার জন্য।
সোমবার তারা যান রুজিরার বোন ও অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের বাড়িতে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। রুজিরা সোমবার লিখিতভাবে সিবিআই-কে জানিয়ে দিয়েছেন, মঙ্গলবার সিবিআই অফিসাররা যেন তার বাড়িতে আসেন। তিনি বেলা এগারোটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত সময় খালি রেখেছেন কথা বলার জন্য।
সোমবারই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির অফিসাররা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছেন বলে খবর রটেছে।
ফিরহাদ হাকিম অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তার ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, এরকম কোনও খবর তারা সত্যিই জানেন না।
দিন তিনেক আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলা নিয়ে আদালত দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কোর্টে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্যের সাংসদ-বিধায়কদের জন্য বিশেষ আদালতে তাকে ডাকা হয়েছিল। সোমবার আদালতে অমিত শাহ ছিলেন না, ছিলেন তার আইনজীবী ব্রজেশ ঝা।
তিনি জানিয়েছেন, অমিত শাহের ঠিকানা ভুল ছিল। তাই এমপি-এমএলএ-দের জন্য গঠিত বিশেষ আদালত মামলাটি আবার ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে।
ঘটনা হলো, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই সিবিআই, ইডি, পুলিশের তৎপরতা বাড়ছে। কয়লা কেলেঙ্কারির যে অভিযোগ নিয়ে অভিষেকের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে জেরা করা হচ্ছে ও হবে, সেই অভিযোগও গত নভেম্বরের।