আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। পরে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এর প্রতিবাদে মিয়ানমারে শুরু হয় অভ্যুত্থানবিরোধী মিছিল। এদিকে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বছরব্যাপী বিক্ষোভ-প্রতিবাদে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া দেশটিতে সশস্ত্র সংঘাতে আরও হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে। খবর রয়টার্স’র।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেছেন, গত বছরের অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে কমপক্ষে ১১ হাজার ৭৮৭ জনকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ হাজার ৭৯২ জন কারাগারে বন্দি আছেন।
তবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে নিহতের যে সংখ্যা প্রকাশ করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
জেনেভায় জাতিসংঘের এক ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের নির্বিচারে আটকের পরিসংখ্যান ঘোষণা করেছেন রাভিনা শামদাসানি। এ সময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিরোধিতা করার জন্য তাদের আটক করা হয়েছে; সেই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ অথবা অনলাইন কার্যক্রমের মাধ্যমে হোক না কেন।
তিনি বলেছেন, আমি এক হাজার ৫০০ মানুষ নিহতের তথ্য নথিভুক্ত করেছি। আর এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে শুধুমাত্র বিক্ষোভ-প্রতিবাদের প্রেক্ষাপটে। সামরিক হেফাজতে নির্যাতনের কারণে নিহত ২০০ জনও এই তালিকায় রয়েছে।
শামদাসানি বলেছেন, সশস্ত্র সংঘাতের কারণে যারা নিহত হয়েছেন, তারা এই দেড় হাজার জনের তালিকায় নেই। আমরা ধারণা করছি, তাদের সংখ্যা হাজার হাজার হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।