
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই আয়োজন এবং স্টল ভাড়া ৫০ শতাংশ কমানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছে একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদ।
মঙ্গলবার সকালে শাহবাগ চত্বরে লেখক, পাঠক, প্রকাশক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ দুই দফা আটকে দেয়। পরে পুলিশের একটি ভ্যানে করে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার এপিএস সাব্বির আহমেদ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
সমাবেশে ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, “আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি সবকিছুর সঙ্গে বইমেলা গভীরভাবে যুক্ত। তাই নানা অজুহাতে বইমেলা বন্ধ রাখার কোনো যুক্তি নেই।”
সমাজচিন্তা ফোরামের কামাল হোসেন বাদল বলেন, “আমরা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে ছিলাম, রক্ত দিয়েছি। এমন বাংলাদেশ আমরা চাইনি যেখানে গান, সংস্কৃতি ও বইমেলার আয়োজন ব্যাহত হবে।”
বক্তারা আরও বলেন, প্রয়োজনে প্রকাশক ও সংস্কৃতিকর্মীরাই বইমেলার আয়োজন করবেন। পাশাপাশি তাঁরা বাংলা একাডেমির নিষ্ক্রিয় ভূমিকার সমালোচনাও করেন।
জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, যদি সত্যিই কোনো পরিবেশগত সমস্যা থাকে, তাহলে অংশীজনদের সঙ্গে বসে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া উচিত। স্কুলে গান শেখানো বন্ধ, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ- এসব কোন ভাবনার প্রতিফলন? এখন আবার বইমেলা বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়ে সরকার অশুভ শক্তির পক্ষে দাঁড়াচ্ছে।
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, সরকার ব্যর্থ হলে লেখক-পাঠক-সাংস্কৃতিক কর্মীদের সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা নিজেরাই ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলা উদ্বোধন করবো।
একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে এদিন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু করতে হবে। স্টল ভাড়া ৫০ শতাংশ কমাতে হবে। নির্বাচন বা আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে বইমেলা পিছিয়ে দেয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সরকার পরিচালনার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি প্রকাশ করে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
তারা আরো বলেন, আমরা চাই ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই মেলা হোক। প্রকাশকদের স্টল ভাড়া অর্ধেকে নামিয়ে আনা হোক। দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার বিকল্প থাকবে না।
আ.লীগের মামলা তুলে নেয়ার বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেইনি: মির্জা ফখরুল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



