জুমবাংলা ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকায় একদিকে খুব ভালই হয়েছে। মানুষ হিসেবে.. নাহ দুঃখিত! অমানুষ হিসেবে আমি, আপনি কত কুৎসিত তা জলের মত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে!
আর দেখেন কী অদ্ভুত! আপনি, আমি বারবার শুধু লোকদেখানো মানবতার জয়গান গাই!
নিজ ঘর, নিজ পরিবারে নিরাপত্তা নেই যেখানে, সেখানে আর যাই হোক মানুষের বসবাস নেই! আইন দিয়ে কি অমানুষকে মানুষে রূপান্তর করা যায়? আইন কি মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে পারে?
ক্ষুদ্র ভূমিকা হয়তো রাখতে পারে তবে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের কেন্দ্র তো পরিবার বলেই জানতাম! তাই ব্যক্তির নিজ অধঃপতন কখনোই বৃহত্তর দায় বলে তৃপ্তির হাসি দেয়া যাবে না।
আদিম সমাজে ফিরে যেয়ে বারবার দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে, নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদের যে আদিমতা সেটি কি বর্তমান আদিমতার চেয়ে কম না বেশি ছিল?
শুধু নিজ পরিবারের মাধ্যমে নানামুখী নির্যাতন তথা অপরাধের যদি হিসেব দেখা হয় সেটি আঁতকে উঠার মত হবে। হেন কোনো অপরাধ নেই যা আত্মীয় স্বজন ও পারিবারিক পরিমণ্ডলে সংঘটিত হয় না! এসবের কোনো সুস্পষ্ট জরিপ হওয়ার সুযোগ সত্যিকার অর্থেই নেই।
কেন নেই সেটি নিয়ে বিশদ আলোচনার সুযোগ রয়েছে। লোভ আর জিঘাংসাই কি তবে ভালবাসা ও পারিবারিক মূল্যবোধকেও ছাপিয়ে যাবে? শুধুমাত্র পেশাগত কারণে দেখার ও উপলব্ধির সুযোগ হয়, হচ্ছে অমানুষ হিসেবে ঠিক কতটা অমানবিক ও বর্বরতায় আক্রান্ত আমরা!
সহস্রের পদপ্রান্ততলে বারম্বার
মনুষ্য মর্যাদাগর্ব চিরপরিহার−
এ বৃহৎ লজ্জারাশি চরণ-আঘাতে
চুর্ণ করি দূর করো। মঙ্গল-প্রভাতে……
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: ইফতেখায়রুল ইসলাম
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন), ওয়ারী বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।