বিনোদন ডেস্ক : তিনি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বচ্চন পরিবারের পুত্রবধু। ফলে পারিবারিক এক সম্মানের কথা সব সময় মাথায় রেখে চলতে হয়। ঐশ্বর্য রাই বচ্চন বরাবরই খুব একটা ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলা পছন্দ করেন না। বার কয়েকবার তিনি সলমন প্রসঙ্গে মুখ খুললেও তাঁর বৈবাহিক জীবন নিয়ে কোনও সমস্যা প্রসঙ্গেই তাঁকে টু-শব্দটি করতে দেখা যায়নি। যদিও বচ্চন পরিবারের অন্দরমহল নিয়ে নানা জনের নানা মত বর্তমান। নানা খবর মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। তেমনই এক খবর হল ঐশ্বর্যের এক ছবি নিয়ে অমিতাভ বচ্চনের আপত্তি।
রজনীকান্তের সঙ্গে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের রোবর্ট, যে ছবি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল রাতারাতি, সেই ছবি করার সময় রীতিমত চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। ঐশ্বর্য ও রজনীকান্তের বয়সের ফারাক ছিল ২৩ বছর। পর্দায় ২৩ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে রোম্যান্স নতুন কিছু নয়। বলিউডে এই ছবি বহুবার দেখা গিয়েছে। কিন্তু রজনীকান্তের বিপরীতে ঐশ্বর্য যেন মানতে পারছিলেন না অমিতাভ বচ্চন। নানা গুজব শোনা গিয়েছিল সেই সময়। কেউ বলেছিলেন বচ্চন পরিবার থেকে নাকি ঐশ্বর্যকে মানা করা হয়েছে, যাতে এই ছবি না করে।
আবার কেউ কেউ বলেছিলেন নিজের বন্ধুর সঙ্গে রোম্যান্স পুত্রবধূর, তা মেনে নিতে পারেননি অমিতাভ বচ্চন। অমিতাভ বচ্চন ও রজনীকান্ত বন্ধু। ফলে যখন তিনি শুনেছিলেন তাঁর পুত্রবধু রজনীকান্তের প্রেমিকার ভূমিকায় অভিনয় করছেন, তাতেই সমস্যা। অমিতাভ বচ্চনকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি হাসতে শুরু করেন। হাসতে হাসতে বলেন, তাঁর এই বিষয় কিছুই বলার নেই। এই ছবি যদিও সুপারহিট ছিল। ঐশ্বর্য রাই বচ্চন প্রথম থেকেই এই চরিত্র নিয়ে ছিলেন সচেতন। বিতর্ক যতই তুঙ্গে থাকুক না কেন, এই ছবি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনওদিন আক্ষেপ করেননি বচ্চন বধূ।
বরং ঐশ্বর্যকে নিয়ে দক্ষিণ ভারত অনেক বেশি ভেবেছে একটা সময়। বহু ছবিরর প্রস্তাব তিনি পেয়েছেন দক্ষিণ ভারত থেকে। যদিও নানা কারণ বশত তিনি পরবর্তীতে ছবির প্রস্তাব গ্রহণ করা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। যদিও দর্শকেরা এখনও অপেক্ষায় আবার কবে পর্দায় সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নেবেন তিনি। তবে তাঁর কামব্যকের কোনও খবর এখনও মেলেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।