স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলির মেয়াদ শেষের পথে। আর সপ্তাহখানেক পরই ১৮ অক্টোবর বিসিসিআইয়ের সাধারণ সভায় নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে এত দিন বিসিসিআই সচিব জয় শাহর নাম শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এবার হুট করেই জানা গেল, সাবেক তারকা অলরাউন্ডার রজার বিনি হচ্ছেন সৌরভ-পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু কেন?
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ হলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে। সুতরাং তার বিসিসিআই সভাপতি না হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। কিন্তু অমিত শাহর ছেলে হওয়াই যেন তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের সকল ক্ষেত্র থেকে পরিবারতন্ত্র উচ্ছেদের আহ্বান জানিয়েছেন। গত ১৫ আগস্ট তিনি বলেছিলেন, ‘শুধু রাজনীতি নয়, দেশের বিভিন্ন সংস্থায়ও পরিবারতন্ত্রের ছায়া দেখা যাচ্ছে। এটা থেকে আমাদের বেরোতে হবে। ’
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, মোদির এই পরিবারতন্ত্রবিরোধী অবস্থানের কারণেই অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ বিসিসিআই সভাপতি হতে পারছেন না। তিনি থেকে গেলেন সেই সচিব পদেই। পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে সাধারণত বিরোধী দল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে থাকেন মোদি। কিন্তু এবার বিসিসিআইয়ে রজার বিনিকে সভাপতি করে নিজেই একটা উদাহরণ সৃষ্টি করলেন বলে মনে করছে ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
এখন পর্যন্ত যে খবর, তাতে জয় শাহ বিসিসিআই সচিব পদেই আরো এক মেয়াদ থেকে যাচ্ছেন। এর পেছনেও একটা যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বাবা অমিত শাহর প্রভাব খাটিয়ে যে জয়ের উত্তরণ ঘটল না, এটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করল বিজেপি। সেই সঙ্গে বার্তা দেওয়া হলো যে, খেলাধুলায় কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকছে না। তা ছাড়া সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে রজার বিনির পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি আছে। ক্রিকেটের লোককে ক্রিকেটে রাখাটাও সমর্থকদের কাছে ইতিবাচক বার্তা।
সূত্র : আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।