জুমবাংলা ডেস্ক: কলা চাষে জামলপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। কলা চাষে খরচ কম এবং বাজারদার ভালো থাকে বলে কৃষকরা কলা চাষে ঝুঁকছেন। ইতোমধ্যে অনেক চাষি কলা চাষে লাভবান হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এই উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোর মধ্যে কুলিয়া, দুরমুঠ ও শ্যামপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কলার চাষ হয়ে থাকে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিস্তীর্ণ জমিতে কলার বাগান। কলা বাগানের মালিক-শ্রমিকরা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে আবার কলাবাগান থেকে কলা কেটে বিক্রি করার জন্য বাছাই করছেন। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে, ফসলি জমি ও তার পাশাপাশি পতিত জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য কলাবাগান।
মেলান্দহ উপজেলার দাউদপুর গ্রামের কলাচাষি মো. শাহিনুর রহমান বলেন, আমি বিগত ১৫ বছর যাবত নদীর তীরে কলা চাষ করছে। এবছর ৬৬ শতাংশ জমিতে কলা চাষ করছি। কলা চাষ করে আমি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছি। আমার পাশাপাশি অনেকেই কলা চাষ শুরু করেছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে কলা চাষে দ্রুত লাভবান হওয়ায় এ উপজেলায় কলার চাষ দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, ১ বিঘা জমিতে ৪০০-৫০০ কলা গাছ লাগানো যায়। এই ১ বিঘায় কলা চাষে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকার কলা বিক্রি করা যায়।
একই এলাকার কলাচাষি শাহানশাহ্, ছামিউল ইসলাম শামীম, জাহাঙ্গীর আলম, আলম মিয়া বলেন, ২-৩ ফুট লম্বা চারা রোপন করলে খুব দ্রুতই ফলন পাওয়া যায়। সাগর কলার চারা একবার রোপন করলে আর রোপন করতে হয় না। গাছ কেটে ফেলার পর ওই গাছের গোড়ায়ই আবার নতুন গাছ জন্মায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, চলতি বছর উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে কুলিয়া, দুরমুঠ ও শ্যামপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কলার চাষ হয়। অল্প পরিশ্রম ও কম খরচে চাষ করা যায় বলে দিন দিন কৃষকদের কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আমরা কলা চাষিদের পরামর্শ ও সব ধরনের সহযোগীতা দিয়ে আসছি।
পাবদা মাছের মিশ্র চাষ ব্যবস্থাপনা, শুরু থেকে শেষপর্যন্ত জেনে নিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।