বিনোদন ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে নির্মিত অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব ভাই’ মুক্তি পেয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারের স্টার সিনেপ্লেক্সে এর প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রিমিয়ার শো-এর উদ্বোধন করেন।
ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোরদের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই সিনেমা দেখার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়।
প্রিমিয়ার শো শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিয়কালে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর সহ সকলের কাছে কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গল্প পৌছে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। তাদেরকে জানানোর জন্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের চেয়ে ভাল আর কোন মাধ্যম হতে পারে না। নির্মাতাগণ বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা সম্পর্কে এ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সুনিপণভাবে তুলে ধরেছেন। ’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,‘বলেন, বাবা-মায়ের আদরের খোকা কিভাবে বাংলার মানুষের কাছে মুজিব ভাই হয়ে উঠলেন, তাঁর জীবন সংগ্রাম এবং তাঁর বিজয়ের সারমর্ম তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন ছাত্র হিসেবে কীভাবে মুজিব একজন নেতা হয়ে ওঠেন, জনমানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন, রাজনৈতিকভাবে সফল হয়ে উঠলেন এবং বাংলাদেশের রূপকার হলেন। কীভাবে হয়ে উঠলেন সকলের মুজিব ভাই; এসকল বিষয়বস্তু হচ্ছে এই চলচ্চিত্রটির বিষয়।’
প্রতিমন্ত্রী আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি দেশের তরুণ দর্শকসহ সকল বয়সী দর্শকের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের এই সকল অধ্যায় চমৎকারভাবে উপস্থাপিত করার একটি প্রয়াস বলে উল্লেখ করেন ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রে এবং অ্যানিমেশন শিল্পে দেশের তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে সর্বোপরি দেশের অ্যানিমেশন শিল্পকে এগিয়ে নিতে এ মুভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনি লিখেছেন অজয় দাশগুপ্ত, সংলাপ এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন আদনান আদীব খান। চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেছেন চন্দন কুমার বর্মন এবং সোহেল মোহাম্মদ রানা। চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মূল নির্বাহী প্রযোজকগণ হলেন জিনাত ফারজানা, আরিফ মোহাম্মদ ও মোঃ শফিউল আলম।
চলচ্চিত্রটির রিসার্চ লিড ছিলেন তন্ময় আহমেদ, প্রজেক্ট অ্যাডভাইজার ছিলেন মুস্তাফা মুহাম্মাদ হোসাইন এবং এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার ছিলেন বায়জিদ খান রাহুল। এই চলচ্চিত্রটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।
চলচ্চিত্রটির অ্যানিমেশন ডেভেলপ করেছে টেকনোম্যাজিক প্রাইভেট লিমিটেড আর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল হাইপার ট্যাগ লিমিটেড।
প্রিমিয়ার শোতে আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাভেদ শফিউল্লাহ, মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ। এই চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন সিনেপ্লেক্স, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।