ফয়সাল শামীম, কুড়িগ্রাম : আমার মাকে আপনারা বাঁচান! আমি একপ্রকার এতিমের মতই! আমার বাবা থেকেও নেই। অন্যখানে বিয়ে করে আজ বাবা ১০ বছর ধরে আমাদের কোন খবর রাখেনা। আমরা একবেলা খেয়ে না খেয়ে থাকি। তার উপরে আমার মায়ের ভয়ংকর রোগ ধরেছে। অপারেশন ও থেরাপি না দিলে হয়তো আমার মা বাঁচবে না।
আমার মায়ের কোমরসহ পিঠে প্রচন্ড ব্যাথা,পায়ে ও মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা, সারা শরীর ঝনঝন করে সারাক্ষন। আমার মা প্রচন্ড ব্যাথায় সারাদিন চিৎকার করে। আমার মা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। মায়ের কষ্ট আমি কোনোভাবেই সহ্য করতে পারিনা আপনারা দয়া করে আমার মাকে বাঁচান। অঝোড়ে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলি বলছিলেন অসুস্থ লুৎফুননেসার মেয়ে জেরিন আক্তার।
লুৎফুননেসার বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দিগদারী গ্রামে। লুৎফুননেসা মেরুদন্ডের জটিল রোগ পি,এল,আই,ডিতে আক্রান্ত। স্বামী ছেড়ে যাবার পর ভিটেমাটি বিক্রি করে রংপুর কুড়িগ্রামের প্রায় হাফ ডজন ডাক্তার বদল করার পর রংপুরের ডাক্তার মাহামুদুনন্নবী ডলার জানিয়েছেন যে, তিনি মেরুদন্ডের খুব জটিল রোগ পি,এল,আই,ডিতে আক্রান্ত। তার অপারেশন ও থেরাপি দ্রুত না দিলে তিনি যখন তখন কঠিন বিপদের মুখে পড়তে পারেন।
সেইসাথে ডাক্তার এটাও জানান অপারেশন ও থেরাপি দিতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লাগবে। টাকার পরিমান শুনে মুশড়ে পড়ে জেরিন ও তার অসুস্থ মা! এখন বাড়িতে এসে আল্লাহপাকের উপর সব ছেড়ে দিয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে জেরিনের মা। আর মায়ের এই আসহায়ত্ব নিরবে দেখে আর মায়ের সাথে সারাদিন কাঁদে জেরিন। জেরিন বেশ ভাল ছাত্রী জেএসসিতে গোল্ডেন এ+ ও এসএসসিতে ৪.০৬ পেয়ে পাস করে ভিতরবন্দ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ে ইন্টারে ভর্তি হন। কিন্তু মায়ের এই অসুস্থতা ও টাকার অভাবে তারও পড়াশোড়া বন্ধ হবার পথে।
লুৎফুননেসার পাশে দাড়াতে তার ব্যাক্তিগত হিসাব নম্বর:২৬২-১৫১-১৫১৭০৪ হিসাবের নাম: লুৎফুননেসা, ব্যাংকের নাম: ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, শাখার নাম: কুড়িগ্রাম সদর শাখা, কুড়িগ্রাম।
ভিডিও কলে লুৎফুননেসাকে দেখতে ও তার সাথে কথা বলতে আমাদের ষ্টাফ রিপোর্টার প্রভাষক ফয়সাল শামীম( ০১৭১৩২০০০৯১) (ইমো,ভাইবার,হোয়াটসএপ) চালু আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।