গাজীপুর প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা লোহাগাছ গ্রামের গরীব এক অসহায় কৃষক পিতার সন্তান মোসাদ্দেক কঠিন রোগে আক্রান্ত। সহায় সম্বলহীন তার পিতার চিকিৎসা করানোর মত কোন সুযোগও নেই।
থাকেন সরকারি খাস জমিতে। অন্যের জমি বর্গা চাষ করে কোন রকমে দিনাতিপাত করেন। ছেলে মোসাদ্দেক ডাক্তারি ভর্তি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়েও টাকার জন্য মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। মোসাদ্দেক টিউশনি করেই কোনরকমে তার লেখাপড়ার খরচ চালাতেন।
কিন্তু কঠিন অসুখের কাছে যেন তিনি দিন দিন হেরেই যাচ্ছেন । তিনি আর পারছেননা। বাধ্য হয়েই বাচার আকুতি নিয়ে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন সে ও তার পরিবার। তার লান্স (ফুসফুস) প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি ডেমেজ হয়ে গেছে তার অপারেশন ও চিকিৎসার জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৮ লাখ টাকা।
বুধবার সন্ধা সাড়ে ছয়টার সময় গাজীপুর ৩ আসনের সাংসদ ইকবাল হােসেন সবুজের বড় ভাই ,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য, মো: আকরাম হােসেন বাদশা মৃত্যুপথযাত্রী মােসাদ্দেকের বাড়িতে এসে তার সাথে দেখা করে তার রোগ ও চিকিৎসার সমস্থ বিষয়ে খুঁজ খবর নেন, তার মার সাথে কথা বলেন।
আকরাম হোসেন বলেন, মানুষের উপকারে মানুষ আসবে এটাই ত দুনিয়ার নিয়ম। মানুষের উপকারে আসতে পারলে নিজেকে খুব ধন্য মনে হয়। মনের মধ্যে একটা শান্তির প্রশান্তি আসে। আজকে আমার বিপদ ত কালকে আপনারও বিপদ হতে পারে, বিপদে একজনের পাশে সকলের এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।
মোসাদ্দেক খুবই মেধাবী ছেলে। তার মত এরকম একজন ফুটন্ত গোলাপকে এভাবে জড়ে যেতে দেওয়া যায়না। আমি তার চিকিৎসার কাগজপত্র ভালো কোন বড় ডাক্তারকে দেখিয়ে পরামর্শ করবো কিভাবে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়।
এবং সে সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। আর এর জন্য আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী পাশে থাকার চেষ্টা করবো। আর আমি সমাজের বিত্তবানদের কাছে বিনীত অনুরোধ করবো আসুন আমরা যার যার সাধ্য অনুযায়ী মোসাদ্দেকের পাশে দাঁড়াই।
সবাই মিলে ছেলেটার পাশে দাঁড়ালে হয়তো বেচে যাবে একটি উজ্জ্বল মেধাবী প্রাণ। অসহায় বৃদ্ধ বাবা’মার মুখে ফুটবে হাসি। এসময় তিনি মোসাদ্দেকের ঔষধপত্র ও ভালো খাবারের জন্য তার মার হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে চিন্তা না করে আল্লাহ তায়ালা নিকট দোয়া করতে বলেন।
মোসাদ্দেকের বৃদ্ধ মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ছেলের জন্য আপনারা দোয়া ও সহযোগিতা করবেন। আমার যদি সহায় সম্বল থাকতো আমি কি আমার সন্তানের জন্য আপনাদের কাছে হাত পাততাম?
টাকার জন্য আমার ছেলেকে ডাক্তারি পরিক্ষায় পাশ করার পরও পড়াইতে পারিনাই, আজ যদি সে ডাক্তারি পড়তো তাইলেত তার রোগ এত বড় হইতোনা আগেই বুঝতে পেরে চিকিৎসা করাইত। কত বড় অভাগা মা’আমি সন্তানের জন্য কিছুই করতে পারতেছিনা। বলেই অঝোরে কাঁদতে থাকেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।