ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আটক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার সারওয়ার হোসেন ঢাকা উত্তরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাটা চামচ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। সেখানে ঠেলাগাড়ি প্রতীকের সফিউল্লাহকে সমর্থন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নাবিস্কোর পাশের রহিম মেটাল মসজিদ এলাকা থেকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল পুলিশ তাকে আটক করে বলে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নামাজের পর দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়। মুখোমুখি এই অবস্থানের সময় তালুকদার সারওয়ার হোসেন তার কাছে থাকা একটি অস্ত্র বের করে প্রদর্শন করে। এসময় অস্ত্র প্রদর্শন নির্বাচনী অপরাধ। তাকে থানায় নেয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বান করা হয়েছে, তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আলী হোসেন বলেন, দুইপক্ষ মুখোমুখি হলে সে সময় উত্তেজনা থেকে হাতাহাতি হয়। এতে তালুকদার সারওয়ার হোসেনসহ তার চার সমর্থক ও সফিউল্লাহর ৫ সমর্থক আহত হন। তালুকদার সারওয়ার হোসেন পুলিশ হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে।
অস্ত্রটি বৈধ দাবি করে স্বপন নামে সারোয়ারের এক নির্বাচনকর্মী অভিযোগ করেছেন, সফিউল্লাহর সমর্থকরা তার প্রার্থীকে মারধর করলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানা কোনো মামলা নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, তালুকদার সারওয়ার জুমআর নামাজ শেষে বেলা পৌনে ২টার দিকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী সফিউল্লাহর সমর্থকরা তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় তিনি আহত হন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তবে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সফিউল্লাহ বলেন, নামাজ শেষেও তিনি মসজিদের ভেতরে ছিলেন। এসময় সারওয়ার কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বাইরে থেকে মসজিদের সামনে এসে হঠাৎ করে অস্ত্র বের করে ‘গুলি করব, গুলি করব’ বলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।