আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আচমকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসা ১৭ লাখ টাকায় বাড়ি বানানোর ৬ মাস পর কৃষক জানতে পারেন ওই টাকা আসলে ভুল করে তার অ্যাকাউন্টে গেছে। এখন ব্যাংকে টাকা ফেরত দেয়ার ভাবনায় ঘুম উড়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদের ওই কৃষকের। খবর- নিউজ এইটিনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই কৃষকের নাম জ্ঞানেশ্বর ওটের। আচমকাই নিজের জনধন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৭ লাখ টাকা ঢুকতে দেখে তিনি ভেবেছিলেন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টাকা পাঠিয়েছিলেন। অ্যাকাউন্টে আসা সেই টাকা দিয়ে একটি বাড়ি বানান তিনি। কিন্তু ৬ মাস পর ব্যাংক জানায়, ভুল করে তার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে অন্য কাউকে পাঠানো টাকা। টাকা ফেরানোর ভাবনায় এখন ঘুম উড়েছে তার।
জানা যায়, গত বছরের আগস্টে নিজের জনধন অ্যাকাউন্টে আচমকাই ১৭ লাখ টাকা জমা পড়তে দেখে চোখ কপালে উঠেছিল জ্ঞানেশ্বরের। ভেবেছিলেন, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে প্রত্যেককে ১৭ লাখ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি অবশেষে পূরণ করলেন নরেন্দ্র মোদি। খুশিতে মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। তারপর তার অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকা থেকে ৯ লাখ টাকা তুলে নিজের বাড়ি তৈরি করান জ্ঞানেশ্বর।
৬ মাস পর একদিন তার হাতে আসে ব্যাংকের চিঠি। তাতে লেখা, ‘৬ মাস আগে ভুল করে আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছিল। ওই টাকা দ্রুত ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।’ ওই ১৭ লক্ষ টাকা আসলে পিম্পলওয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নের খাতে পাঠানো হয়েছিল। যা ব্যাংকের ভুলে গিয়ে ঢোকে জ্ঞানেশ্বরের অ্যাকাউন্টে। ভুল ধরা পড়তে পেরিয়ে গিয়েছে ৬ মাস। চিঠি পেয়ে জ্ঞান হারানোর দশা জ্ঞানেশ্বরের!
এ ব্যাপারে জ্ঞানেশ্বর বলেন, মোদিজি পাঠিয়েছেন ভেবেই আমি সন্দেহ করিনি। এতোদিনে ওই টাকায় বাড়ি তৈরি করিয়েছি। এখন শুনছি উন্নয়নের জন্য ওই টাকা পঞ্চায়েতকে পাঠানো হয়েছিল। ভুল করে তা চলে আসে আমার খাতায়। এখন আমি কী করবো! ৯ লাখ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। বাকি ৬ লাখ ছিল, তা ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন ৯ লাখ টাকা আমি কোথা থেকে পাবো!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।