বরফের মাঝে ফুটছে ফুল। এ ধরনের কথা শুনলে আপনি অবাক হয়ে যেতে পারেন বা অনেকে ইতিবাচকভাবেও নেবেন। তবে বিজ্ঞানীদের মত অনুসারে বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কাও রয়েছে। বাস্তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে অ্যান্টার্কটিকার। এর আগে শীতপ্রধান এ অঞ্চলে কখনো দ্রুত উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটেনি।
চরম শীতল অঞ্চলে ফুল ফুটতে শুরু করায় বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কেননা বিষয়টি জলবায়ু পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তা না হলে এখানে ফুল ফোটা প্রায় অসম্ভব। ১৯৬০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত উদ্ভিদের বৃদ্ধি তেমন একটা ঘটেনি। তবে ২০০৯ সাল থেকে এ হার বৃদ্ধি পেতে চলেছে।
বিভিন্ন জাতের উদ্ভিদের বৃদ্ধি পাঁচ গুণ বেড়েছে অ্যান্টার্কটিকায়। মস ও শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদের আধিপত্য রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে সেখানে নতুন ধরনের উদ্ভিদের জন্ম হচ্ছে। এর ফলে সেখানে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এন্টারটিকার বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম এই বিষয়টি লক্ষ্য করেন। প্রথম থেকে নির্দিষ্ট অঞ্চলে এ উদ্ভিদ দেখা যেত। এখন তা এন্টারটিকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
আগে ঠান্ডার কারণে উদ্ভিদ বেশি দিন না বাঁচালেও বর্তমানে বৃদ্ধি ঘটছে। উদ্ভিদের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ফুল ফুটছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানব সৃষ্ট কারণে এ ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞানীরা দাবী করেন।
মনে করা হয় যে, মানুষের মাধ্যমে এ বীজ এন্টারটিকায় এসে পৌঁছেছিল। অতীতের তীব্র ঠান্ডার কারণে তা উদ্ভিদে পরিণত হতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে বীজ থেকে উদ্ভিদের জন্ম হয়েছে। বিজ্ঞানীদের একটি অংশ মনে করেন যে, সিল মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে নানা জাতের উদ্ভিদ এর বৃদ্ধি ঘটেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।