জুমবাংলা ডেস্ক: আইএমএমএফ থেকে বাংলাদেশের চাওয়া ঋণের বিষয়ে বুধবার একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে।
বাড়তি ঋণ সুবিধা এবং বাড়তি তহবিল সুবিধার অধীনে প্রায় তিন দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সেইসঙ্গে স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থায়িত্বের অধীনে এক দশমিক তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার সুবিধা দিতে ৪২ মাসের জন্য আইএমএফ প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দেশের অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে সহযোগিতা করতে এই প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছে।-খবর ইউএনবি’র।
আইএমএফের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন তহবিল-সমর্থিত কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এবং দুর্বলদের রক্ষা করার পাশাপাশি শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ইতিবাচক উন্নয়নকে সহযোগিতা করা।
স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থায়িত্ব সুবিধা (আরএসএফ) বাংলাদেশের জলবায়ু বিনিয়োগের চাহিদাকে সমর্থন করতে, জলবায়ু অর্থায়নকে অনুঘটক করতে এবং আমদানি-নিবিড় জলবায়ু বিনিয়োগ থেকে অর্থপ্রদানের ভারসাম্যের চাপ কমাতে সাশ্রয়ী, দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে, রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মিশন বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ-এর সমর্থন এবং কর্তৃপক্ষের ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সফর করে।
মিশন শেষে, রাহুল আনন্দ নিম্নলিখিত বিবৃতি দেন:
‘বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং আইএমএফ টিম প্রায় তিন দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার (এসডিআর দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন, কোটার ২৩১ দশমিক ৪ শতাংশের সমতুল্য) ৪২ মাসের নতুন ইসিএফ বা ইএফএফ ব্যবস্থার অধীনে কর্তৃপক্ষের সংস্কার নীতিগুলোকে সমর্থনের জন্য একটি কর্মী পর্যায়ের চুক্তিতে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে সংঘটিত আএসএফ ব্যবস্থার প্রায় এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার (এসডিআর এক বিলিয়ন, কোটার ৯৩ দশমিক ৮০ শতাংশের সমতুল্য)।
‘নতুন ইসিএফ বা ইএফএফ ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা এবং দুর্বলদের রক্ষায় বিঘ্নিত সমন্বয় প্রতিরোধ করা, যেখানে শক্তিশালী অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ইতিবাচক উন্নয়নকে সহযোগিতার জন্য কাঠামোগত পরিবর্তনে জোর দেয়া। বাংলাদেশের বৃহৎ জলবায়ু অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা প্রতিফলিত করে, সমসাময়িক আরএসএফ। যা ইসিএফ বা ইএফএফ -এর অধীনে উপলব্ধ সংস্থাগুলোর পরিপূরক করে। অন্যান্য অর্থায়নের অনুঘটকসহ কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনায় চিহ্নিত জলবায়ু অগ্রাধিকারগুলোর অর্থায়নের জন্য আর্থিক খাতকে প্রসারিত করে এবং জলবায়ুর আমদানি বিনিয়োগের বাহ্যিক চাপ হ্রাস করবে।আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহে কর্মকর্তা-পর্যায়ের চুক্তিটি আইএমএফ ব্যবস্থাপনার অনুমোদন এবং নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।
বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, ‘মহামারি থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে চলতি হিসাবের ঘাটতি তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দ্রুত পতন, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।