
বৈঠকে জানানো হয়, সেনা সদস্যদের বিশ্রাম ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিতে আপাতত ৫০ শতাংশ সদস্যকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল (বুধবার) থেকে এই প্রক্রিয়া কার্যকর হবে। পরবর্তী পর্যায়ে যারা মাঠে থাকবেন, তাঁদেরও ধাপে ধাপে ফিরিয়ে এনে একইভাবে বিশ্রাম ও প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে। এরপর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে পুনরায় দায়িত্বে পাঠানো হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
সরকারের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানান, নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী প্রয়োজন অনুসারে মাঠে থাকবে, তবে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করেই তাদের মোতায়েন পরিচালিত হবে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সদস্যদের আংশিক প্রত্যাহারের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো মাঠ পর্যায়ে এর প্রতিক্রিয়া ও আইনশৃঙ্খলার সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা। দীর্ঘ সময় ধরে সেনাসদস্যরা মাঠে অবস্থান করায় বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
তবে সূত্রটি জানিয়েছে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে সেনাবাহিনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



