ল্যাম্বডা (Λ) বলতে মহাজাগতিক ধ্রুবক বা কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্টকে বোঝায় যা মহাবিশ্বের ত্বরণ নির্ধারণ করে। এককালে মহাবিশ্বকে তাত্ত্বিকভাবে স্থির করতে ধ্রুবকটি নিজের সাধারণ আপেক্ষিকতার সমীকরণে যোগ করেছিলেন আইনস্টাইন। অবশ্য পরে দেখা গেল, মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে। তখন ধ্রুবকটি আপেক্ষিকতার সমীকরণে যোগ করাকে নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল বলে স্বীকার করেন তিনি। কিন্তু এই ধ্রুবক এখন ব্যবহার করা হচ্ছে মহাবিশ্বের ত্বরণের হার প্রকাশে।
বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন, ল্যাম্বডার মান কয়েক গুণ বড় হলে এটি যে অ্যান্টিগ্র্যাভিটি তৈরি করবে, তা মহাবিশ্বকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে এবং মহাবিশ্বকে তাৎক্ষণিকভাবে বিগ ফ্রিজে পাঠিয়ে দেবে। বলা বাহুল্য, তাতে প্রাণের টিকে থাকা অসম্ভব। কিন্তু মহাজাগতিক ধ্রুবকটি ঋণাত্মক হলে মহাবিশ্ব প্রচণ্ডভাবে সংকুচিত হয়ে একটা বিগ ক্রাঞ্চ বা মহাসংকোচনে চলে যেত। মহাবিশ্বে, তথা পৃথিবীতে প্রাণের সূচনার অনেক আগেই ঘটত সেটি। অন্য কথায়, ওমেগার মতো মহাজাগতিক ধ্রুবকও অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট স্বল্প পরিসরে থেকে প্রাণের উদ্ভব সম্ভব করে তুলেছে।
এরপর Q নিয়ে আলোচনা করা যাক। কসমিক মাইক্রোওয়েব ব্যাকগ্রাউন্ড বা মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণে অনিয়মের ব্যাপকতা প্রকাশ করে এটি। এর মান ১০-৫। এই সংখ্যা আরেকটু ছোট হলে মহাবিশ্ব চরম সুষম হতো। প্রাণহীন গ্যাস ও ধূলিকণায় ভরে থাকত সেখানে। সেগুলো কখনোই ঘনবদ্ধ হয়ে আজকের ছায়াপথ, নক্ষত্র বা গ্রহগুলো গঠিত হতে পারত না। মহাবিশ্ব হতো অন্ধকার, সুষম, বৈশিষ্ট্য–প্রাণহীন।
আর Q আরেকটু বড় হলে পদার্থ মহাবিশ্বের ইতিহাসে অনেক আগেই ঘনবদ্ধ হয়ে বিপুল সুপারগ্যালাকটিক কাঠামো গঠন করত। রিজ বলেছেন, এসব ‘বড় ধরনের পদার্থগুলো সংকুচিত হয়ে বিশাল কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হতো’। এসব কৃষ্ণগহ্বর গোটা একটা ছায়াপথের চেয়েও অনেক বেশি ভারী হতো। গ্যাসের এসব বিপুল আকৃতির ক্লাস্টারে নক্ষত্র গঠিত হলেও তা এতই ঠাসাঠাসি হয়ে থাকত যে গ্রহ ব্যবস্থা হয়ে উঠত অসম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।