চার–ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে চলছে আইপিএলের সপ্তদশ আসর। টুর্নামেন্টের ১৭তম ম্যাচে আজ (বৃহস্পতিবার) মুখোমুখি হয়েছে গুজরাট টাইটান্স ও পাঞ্জাব কিংস। আর এদিনই দ্রুততম তিনশ ছক্কার রেকর্ড গড়ল আইপিএল। এর আগে আইপিএলের কোনো মৌসুমে এত কম ম্যাচে ৩০০টি ছক্কা মারা হয়নি। এর আগে গতকাল ২৭২ রানের দলীয় সংগ্রহ পেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথমবারের মতো এবার কোনো আসরে একাধিক আড়াইশ’র বেশি রানের রেকর্ডও হয়েছে।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে চলছে গুজরাট এবং পাঞ্জাব কিংসের মধ্যকার আজকের ম্যাচটি। যেখানে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক গুজরাটের ওপেনার ও অধিনায়ক শুভমান গিল প্রথম ওভারেই একটি ছক্কা হাঁকান, যা ছিল চলতি টুর্নামেন্টের ৩০০তম ছক্কা। এর আগের মৌসুমে ১৭ ম্যাচে ২৫৯টি ছক্কা মারা হয়েছিল, যেখানে ২০২০ সালে একই সংখ্যক ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা ২৫৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।
এছাড়া ২০১৮ সালে ১৭তম ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা মারতে পেরেছিলেন ২৫০টি ছক্কা। ২০২২ সালে আইপিএলের প্রথম ১৭ ম্যাচে ব্যাটারদের দ্বারা মোট ২৪৫টি ছক্কা মারা হয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি মৌসুমে প্রতি ১২-১৩ বলের মাঝে একটি করে ছক্কা মারা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২৫ বলে কমপক্ষে ২টি করে ছক্কা মারা হচ্ছে। এছাড়া আইপিএলের আগের প্রতিটি আসরে গড়ে ১৫–এর বেশি বলে ছক্কা হাঁকাতে দেখা গিয়েছিল।
অথচ এবার প্রতিটি ম্যাচে দুই ডজনের বেশি ছক্কা মারা হচ্ছে, তাই কল্পনা করাই যায় এবারের টুর্নামেন্টটি কতটা রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যান এনরিখ ক্লাসেন একাই ১৭টি ছক্কা মেরেছেন। এছাড়া রাজস্থানের ব্যাটসম্যান রায়ান পরাগ, লখনৌ সুপার জায়ান্টসের নিকোলাস পুরান এবং কলকাতার ওপেনার সুনীল নারিন সমান ১২টি করে ছক্কা মেরেছেন এখন পর্যন্ত।
এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত দুইবার স্কোরবোর্ডে ২৫০-র বেশি রান উঠেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের করা ২৭৭ রান তো আইপিএল ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। সেই রেকর্ডও প্রায় ভেঙে দিতে বসেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা ২৭২ রানে থামে। বোঝাই যাচ্ছে, এবারের আইপিএলে ব্যাটাররা যেভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছেন, বেশ চাপেই রয়েছেন বোলাররা। যদিও বোলারদের জন্য ওভারপ্রতি দুটি বাউন্সার রাখা হয়েছে, তবুও সব দেখে মনে হচ্ছে এবারের টুর্নামেন্টে বোলারদের ভালোভাবেই টেক্কা দিচ্ছেন ব্যাটাররা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।