যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত একটি সাম্প্রতিক ভোক্তা সমীক্ষায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। এভারকোর নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ভোক্তার ওপর জরিপ চালিয়েছে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৫৬ শতাংশই আইফোন ১৭ প্রো বা প্রো ম্যাক্স কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। অন্যদিকে, আইফোন এয়ার কিনতে চান এমন ভোক্তার সংখ্যা ১০ শতাংশেরও কম।
জরিপে অংশ নেওয়া ভোক্তাদের অনীহার পেছনে দুটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছেন বিশ্লেষকরা। এগুলো হলো ব্যাটারি জীবন নিয়ে skepticism এবং সিঙ্গেল রিয়ার ক্যামেরার সীমিত সক্ষমতা। AppleInsider এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এভারকোরের এই জরিপটি তাদের বার্ষিক consumer survey-এর অংশ।
সমীক্ষার ফলাফল ও বিশ্লেষণ
এভারকোরের বিশ্লেষকদের মতে, ভোক্তাদের এই সিদ্ধান্ত বেশ যৌক্তিক। আইফোন ১৭ প্রো মডেলগুলিতে RAM আপগ্রেডসহ বেশ কিছু উন্নত ফিচার যোগ হয়েছে। এই ফিচারগুলো সাধারণ মডেলের তুলনায় ভালো পারফরম্যান্স দেয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, Apple-এর নিজস্ব ব্যাটারি রানটাইম তুলনা অনুযায়ী আইফোন এয়ার আইফোন ১৬ প্লাস এবং প্রো-এর চেয়ে বেশি সময় চলতে সক্ষম। তবে প্রকাশ্য ডেটা থাকা সত্ত্বেও ভোক্তাদের mindsets change করা যায়নি। এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়।
ভোক্তা আচরণ ও বাজার প্রতিক্রিয়া
বিশ্লেষকরা আরও মনে করেন, এটি শুধুমাত্র একটি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মাত্র ৪ হাজার ভোক্তার রায় দিয়ে পুরো গ্লোবাল মার্কেটের চিত্র বোঝা সম্ভব নয়। Apple পুরো বছর জুড়ে ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রির টার্গেট করেছে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
তবে আইফোন এয়ার-এর প্রোডাকশন ভলিউমই সবচেয়ে কম রাখা হয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে Apple এই মডেলটিকে একটি পরীক্ষামূলক পণ্য হিসেবে বিবেচনা করছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের স্লিম ডিজাইনের পণ্য লঞ্চের জন্য এটি একটি টেস্ট বেড হতে পারে।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
এই সমীক্ষার ফলাফল Apple-এর পণ্য কৌশল বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেখায় যে ভোক্তারা ডিজাইনের চেয়ে পারফরম্যান্স এবং ব্যবহারিকতাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। আইফোন এয়ার-এর ultra-thin ডিজাইন অনেকের কাছেই আকর্ষণীয়, কিন্তু তা practical trade-offs ছাড়া আসেনি।
বাজার বিশ্লেষকদের জন্য এটি একটি clear indicator। ভবিষ্যতের পণ্য ডেভেলপমেন্টে Apple-কে ভোক্তাদের এই priorities মাথায় রাখতে হবে। প্রিমিয়াম ফিচার এবং reliable performance-এর মধ্যে balance বজায় রাখাটাই key challenge হবে।
এভারকোরের এই সমীক্ষা স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, আইফোন ১৭ সিরিজে ভোক্তাদের আস্থা প্রো মডেলগুলোর উপরই বেশি। নতুন আইফোন এয়ার মডেলটি প্রাথমিকভাবে expected demand পূরণ করতে পারেনি। Apple-এর জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ feedback হিসেবে কাজ করবে।
জেনে রাখুন-
Q1: আইফোন ১৭ প্রো এবং সাধারণ মডেলের প্রধান পার্থক্য কী?
প্রধান পার্থক্য হলো RAM, ক্যামেরা সিস্টেম এবং প্রসেসরের পারফরম্যান্স। প্রো মডেলগুলো উচ্চতর গ্রাফিক্স এবং ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেটও সরবরাহ করে।
Q2: আইফোন এয়ার এর ব্যাটারি জীবন কি সত্যিই খারাপ?
Apple-এর দাবি অনুযায়ী, আইফোন এয়ার আইফোন ১৬ প্লাস এবং প্রো-এর চেয়ে বেশি সময় চলে। কিন্তু ভোক্তারা এখনও এই দাবি নিয়ে সন্দিহান।
Q3: এই সমীক্ষা কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
এটি একটি নির্দিষ্ট region (যুক্তরাষ্ট্র) এবং সীমিত sample size (৪০০০ জন) এর সমীক্ষা। তাই গ্লোবাল চিত্রের জন্য এটি সম্পূর্ণ representative নয়।
Q4: আইফোন ১৭ এর ডেলিভারি কখন শুরু হবে?
Apple এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ডেলিভারির তারিখ ঘোষণা করেনি। তবে tradition অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে pre-order শুরু হতে পারে।
Q5: আইফোন এয়ার কেন কম উত্পাদন হচ্ছে?
বিশ্লেষকদের ধারণা, Apple বাজারের প্রতিক্রিয়া দেখতে চায়। low production volume দিয়ে তারা ঝুঁকি কমিয়ে market test করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।