জুমবাংলা ডেস্ক: চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় আউশ ধান চাষ করে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আগে জমিতে বছরে দুইবার বোরো ও আমন ধানের চাষ হতো। এর মধ্যে ওই ধানি জমিতে অন্য ফসল চাষ করার সুযোগ ছিল না। ফলে বেকার হয়ে পড়তেন কৃষি শ্রমিকরা। এতে চাষি ও কৃষি শ্রমিকরা অর্থ সংকটে দিন কাটাতেন। আজ সেই অভাব দূর করে দিয়েছে হাইব্রিড জাতের আউশ ধান।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অমরপুর শ্যামনগর এলাকার সাইফুল্যাহ (৫০) যে জমিতে বছরে দুইবার ধান চাষ করতেন। এক ফসল বিক্রি করে আরেক ফসলের খরচ জোগান দিতে হতো। বন্যা, পোকামাকড় ও অনাবৃষ্টির কারণে প্রতিবছর আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে উৎপাদন কম হতো। আবার কোনো কোনো বছর নষ্ট হওয়ায় ফসল তো দূরের কথা আমন ক্ষেতের খড়-বিচালিও তিনি আনতে পারতেন না। তাতে আবাদের খরচই উঠত না। কিন্তু এ বছর তিনি ৮০ শতক জমিতে ব্রি-ধান ৪৮ জাতের আউশ ধান লাগিয়েছেন। মাত্র ১১৫ দিনের ব্যবধানে এই ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন।
আরও দেখা যায়, গাছে ধানশীষ সোনালি রঙ ধারণ করেছে। আর মাত্র ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে নেওয়ার উপযোগী হবে। তাই ক্ষেত দেখে কৃষক সাইফুল্যাহর চোখেমুখে এখন আনন্দের ঝিলিক ফুটছে। এ ধানে রোগবালাই খুব কম। এছাড়া উপজেলার আন্ধারমুহা, বড়বাউল, মর্ত্তমন্ডল গ্রামের অনেক কৃষক এবারে ওই জাতের আউশ ধান জমিতে লাগিয়েছেন। তবে, মাঝে মাঝে বাবুই পাখির ঝাঁক এসে পাকা ধান খাওয়ার চেষ্টা করছে। চাষিরা পাখি তাড়াতে ধানক্ষেতে জাল, খড়ের মূর্তি, টিনের শব্দ তরঙ্গ পদ্ধতি এবং পলিথিনের ঝাণ্ডা পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা বলেন, ‘ব্রি-ধান-৪৮ আউশ ধান চাষ করলে ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। আমনের জাতগুলোর তুলনায় ৬০ থেকে ৭০ দিন আগে এ ধান পেকে যায়। ফলে বাকি সময় চাষিরা অন্য ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এ জাতের ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।